Business Blog
Thursday, February 12, 2015
Tuesday, February 10, 2015
এক পুকুরে হাঁস আর মাছ চাষ
এক পুকুরে হাঁস আর মাছ চাষ
বর্তমানে পুকুর হচ্ছে মাছের অন্যতম উৎস। বাণিজ্যিকভাবে যারা আমাদের দেশে অনেকে মাছ চাষের সাথে সম্পৃক্ত। আবার অনেকের প্রধান পেশা মাছ চাষ। বর্তমানে মাছ লাভজনক একটি প্রযুক্তি। মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের মতে, পুকুরে হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষ পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব সহজে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। ঢাকার আশপাশের এলাকা- ধামরাই, সাভার, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ দেশের অনেক স্থানে হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ পদ্ধতিতে অনেক সুবিধা রয়েছে যেমন- এর জন্য পুকুরে তেমন বাড়তি সার ও খাদ্য দিতে হয় না। মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। একই সাথে মাছ, হাঁসও ডিম থেকে সমানে আয় করা যায়। লিখেছেন হাসানুর রহমান খান বকুল
☛ যেভাবে শুরু করতে পারেন :- এ প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে চাইলে আপনাকে ৪০-৫০ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুর লাগবে। ১০০- ১৫০টি হাঁস, ১৫০০-১৮০০টি মাছের পোনা, হাঁসের ঘর। এসব পরিকল্পিতভাবে করলে ভালো হয়। পাহারাদারের ঘরটি হাঁসের ঘরের দক্ষিণ পাশে হলে ভালো হয়।
☛ পুকুর তৈরি করুন নিখুঁত ভাবে :- আপনাকে সঠিকভাবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে পুকুরের চারপাশের পাড় ভালোভাবে মাটি দিয়ে উঁচু করে বাঁধতে হবে। পুকুরের তলদেশ সংস্কার করতে হবে। পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে প্রতি শতকে ১ কেজি হারে। চুন প্রয়োগের পর পানি সরবরাহ করতে হবে। মনে রাখবেন চুন প্রয়োগের ২-৩ সপ্তাহ পর মাছ ছাড়তে হবে। পুকুরে কোনো আগাছা রাখা যাবে না, এমনকি পানা থাকলেও তা পরিষ্কার করে দিতে হবে। পুকুরে পানি কমানো বা বাড়ানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।
☛ কোন জাতের মাছ নির্বাচন করবেন :- হাঁস চাষ করায় পুকুরে মাছের বিভিন্ন প্রকার খাবারের সৃষ্টি হয়। এজন্য ভিন্ন ভিন্ন খাদ্যাভ্যাসের বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করা উচিৎ। তাছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভিন্ন ভিন্ন স্তরের খাবার খায়। মাছের প্রজাতির মধ্যে সিলভার কার্প ও কাতলা-পানির উপরের স্তরে খাদ্য খায় গ্রাস কার্প-পুকুরের জলজ আগাছা ও ঘাস খায়, কমন কার্প- পুকুরে তলদেশের খাদ্য খায় বলে জানালেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও মৃগেল, কালিবাউশ, মিরর কার্প, সরপুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করতে পারেন।
মাছের সম্ভব্য সংখ্যা: প্রতি শতকের জন্য সিলভার কার্প- ১০-১৫টি, কাতলা/ব্রিগেড- ৬টি, মৃগেল ৬টি, কালিবাউশ ৩টি, গ্রাস কার্প ৩টি, সরপুঁটি ৭-১০টি।
☛ হাঁসের ঘর তৈরি :- পুকুর পাড়ে কিংবা পুকুরের ওপর ঘরটি তৈরি করতে হবে। ঘরের উচ্চতা ৫-৬ ফুট হলে ভালো হয়। ঘর তৈরিতে বাঁশ, বেত, টিন, ছন, খড় ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘরটি খোলামেলা হতে হবে এবং সাপ ও ইঁদুর থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
☛ উন্নত হাঁসের জাত :- হাঁসের জাত নির্বাচন করার ক্ষেত্রে যে জাতের হাঁস বেশি ডিম দেয় সে জাতের হাঁস নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান রানার ও খাকি ক্যাম্পেবেল নির্বাচন করা যেতে পারে। এ জাতের হাঁস ৫ মাস বয়স থেকে ২ বছর পর্যন্ত ডিম দেয়। বছরে ২৫০- ৩০০টি ডিম দিয়ে থাকে।
☛ হাঁসের খাদ :- শুকনা খাদ্য না দিয়ে হাঁসকে সবসময় ভেজা খাদ্য দেয়া উচিত। খাদ্যে আমিষের পরিমাণ ডিম দেয়া হাঁসের ক্ষেত্রে ১৭-১৮ শতাংশ ও বাচ্চা হাঁসের ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ রাখা উচিত।
☛ সম্ভব্য আয়-ব্যয় :- ৪০-৫০ শতাংশের একটি পুকুরে ১০০টি হাঁসের জন্য এ প্রকল্প শুল্ক করলে সব মিলে খরচ দাঁড়াবে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। সঠিক পরিচর্যা আর যত্ন নিতে পারলে প্রথম বছরে যাবতীয় ব্যয় বাদ দিয়ে ৬০-৯০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হতে পারে।
☛ কোথায় পাবেন হাঁসের বাচ্চা :- দৌলতপুর হাঁস খামার, নারায়ণগঞ্জ হাঁস প্রজনন কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত হাঁস-মুরগির খামার ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের নিকট থেকে হাঁস বা হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করতে পারেন।
☛ কোথায় পাবেন মাছের পোনা :- এশিয়ার বিখ্যাত হালদা নদীর পোনা সবচেয়ে ভালো। তবে আপনার কাছে সরকারি মৎস্য পোনা উৎপাদন খামার থেকে মাছের পোনা সংগ্রহ করতে পারেন।
রোগমুক্ত, উন্নত জাতের হাঁস আধুনিক পদ্ধতি ও সঠিক নিয়ম অনুযায়ী চাষ করুন। যে কোনো পরামর্শের জন্য আপনার উপজেলা বা জেলা মৎস্য ও পশুসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
লেখাটি নেয়া হয়েছে দৈনিক পত্রিকা যায়যায় দিন থেকে
এক পুকুরে হাঁস আর মাছ চাষ
Monday, January 19, 2015
ব্যবসা সফল হবার মূলমন্ত্র
ব্যবসা সফল হবার মূলমন্ত্র
একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান/উদ্যোগকে সফল করার জন্য একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরনের রয়েছে কৈশল এবং ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন অন্যদিকে তেমনি প্রয়োজন রয়েছে দক্ষতা, ইচ্ছা শক্তি, উপস্থিত বুদ্ধিসহ নানাবিধ ব্যাক্তিগত যোগ্যতা । শুধুমাত্র পড়ালেখা করে যেমন ব্যবসায়ী হিসাবে সফল হওয়া যায় না তেমনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নানাবিধ যোগ্যতা দিয়েও একটি ব্যবসা সফল করা যায় না ।পৃথিবীতে তাই নানা সময়ে নানা ব্যবসায়ী বিশেষজ্ঞগণ ব্যবসায়ীক জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকার ব্যবসা মডেল উপস্থাপন করেছেন । এখানে তেমনি একটি ব্যবসা মডেল সহজভাবে উপস্থাপন করা হলো ব্যবসায়ীক জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য । একজন উদ্যোক্তা যদি তার ব্যক্তিগত যোগ্যতা দিয়ে এই মডেলটি যথাযথভাবে অনুসরন করতে পারেন তাহলে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে সফল হবার সুযোগ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে ।
ব্যবসায়ী পার্টনার নির্ধারন
- কে/কারা আপনার ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ন পার্টনার হিসাবে বিবেচিত হতে পারে ?
- এক সঙ্গে পার্টনার হিসাবে কাজ করার জন্য আপনাদের মুল ভিত্তিটা কি হবে ?
- পার্টনার হিসাবে আপনাদের কি এবং কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে ?
- পার্টনারদের মধ্যে কে কিভাবে কাজ করবে তা সুনির্দিষ্ট করা?
ব্যবসার কার্যক্রম সুনির্দিষ্ট করা
- ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান হিসাবে কি কাজ করবেন তা সুনির্দিষ্ট করে লিখে রাখুন
দক্ষকর্মী বাছাই করুন
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য কি ধরনের দক্ষকর্মী প্রয়োজন তা নির্ণয় করা ?
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীবৃন্দকে, কি কাজ করবে তা সুনির্দিষ্ট করা এবং সেই অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ দেয়া?
- ব্যবসার পণ্য/সেবার সাথে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা যোগ করুন
ক্রেতা/ভোক্তা কি সুবিধা চায় তা নির্ণয় করা ?
- আমরা কোন পণ্য/সেবা ক্রেতা/ভোক্তার কাছে পৌছাতে চাই তা সুনির্দিষ্ট করা ?
- ব্যবসায়ী পণ্য/সেবার মাধ্যমে ক্রেতা/ভোক্তার কি ধরনের সমস্যা সমাধান করতে চাই তা নির্ণয় করা?
- পণ্য/সেবার মাধ্যমে কি কি অতিরিক্ত সুবিধা দিতে চাই বা কোন কোন কারনে আমাদের পণ্য/সেবা অন্যদের চেয়ে আলাদা তা নির্ধারন করা ?
ক্রেতার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন
- ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্রেতা/ভোক্তাদের সাথে কি ধরনের সম্পর্ক তৈরী/ম্যাইনটেইন করতে চাই তা আগে থেকেই নির্ণয় করে রাখা?
- পণ্য/সেবা ক্রেতার কাছে পৌছে দেবার ব্যবস্থা করুন
- ক্রেতা/ভোক্তা/ডিলার ইত্যাদি পর্যায়ে পণ্য/সেবা পৌছে দেবার জন্য সুনির্দিষ্ট সার্ভিস এর ব্যবস্থা রাখা ।
- ক্রেতার অনুভুতি/মতামত সংগ্রহ করুন
- ক্রেতার মতামত ও অনুভুতিগুলো সংগ্রহ করা এবং সেই অনুযায়ী ক্রেতা/ভোক্তা বিভক্তি (ভাল, কম ভালো, ভালো না, ইত্যাদি) করা ।
- বিভিন্ন ধরনের ক্রেতা/ভোক্তার জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবা/সুবিধার আয়োজন করা ।
সঠিক/সুনির্দিষ্টভাবে ব্যায়/খরচ হিসাব করুন
- ব্যবসার পণ্য/সেবার জন্য ব্যায় (সঠিকভাবে সব ধরনের ব্যায় সঠিকভাবে হিসাব করে) আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট করে হিসাব করুন ।
- সঠিক/সুনির্দিষ্টভাবে লভ্যাংশ হিসাব করুন
- ব্যবসার পণ্য/সেবার জন্য লভ্যাংশ (সঠিকভাবে হিসাব করে) আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট করে রাখুন
Collected
ব্যবসা সফল হবার মূলমন্ত্র
Saturday, January 17, 2015
House wiring (হাউস ওয়্যারিং) করার পদ্ধতি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নিন
কিছু দিন আগে বাড়ি গিয়েছিলাম। আমাদের একটি ঘর ওয়্যারিং করার প্রয়োজন ছিল। বেশি না মাত্র দুইটা রূম। বেশ কয়েকজন ইলেকট্রিশিয়ান দেখার পর মজুরি চাইল ২৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা। পরিচিত হবার কারণে আমাদের কাছে নাকি কম চেয়েছে। উল্লেখ্য কাজটি করতে দুইজন মানুষের সর্বোচ্চ ১.৫ থেকে ২ দিন সময় লাগবে। যাই হোক মজার ব্যাপার হলো ইলেকট্রিশিয়ানদের মধ্যে কয়েকজনই ছিল Honors লেবেলের ছাত্র। লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু দিনের ট্রেনিং নিয়ে তারা এই কাজ শুরু করেছে।
উপরের ঘটনাটি বলার উদ্দেশ্য হলো আপনারা যারা ছাত্র বা কিছু লেখা-পড়া করেছেন বা যারা কোনরকম লেখাপড়াই করেননি তারা ইচ্ছা করলে সহজেই এই পেশায় আসতে পারেন। অল্প শ্রম দিয়ে আপনি ভাল ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া ইচ্ছা করলে অন্য কাজের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাজ করতে পারবেন।
যারা পেশা হিসেবে নিতে চান না, তাদেরও টুকটাক ইলেকট্রনিক্সের কাজ জেনে রাখা ভাল।
যাই হোক, নিচের বইটি পড়ে আশা করি হাউস ওয়্যারিং এর অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং কাজও করতে পারবেন। যদিও কাজটি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারিক, তবুও আশা করি বইটি আপনাদের উপকারে আসবে।
বৈদ্যুতিক কাজ ঝুঁকিপূর্ণ, তাই সাবধানে কাজ করবেন। আশা করি কোন দুর্ঘটনা হবে না । আপনাদের জন্য সুভকামনা রইল।
House wiring (হাউস ওয়্যারিং) করার পদ্ধতি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নিন