Monday, January 19, 2015

ব্যবসা সফল হবার মূলমন্ত্র

ব্যবসা সফল হবার মূলমন্ত্র

ব্যবসা সফল হবার মূলমন্ত্র


একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান/উদ্যোগকে সফল করার জন্য একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরনের রয়েছে কৈশল এবং ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন অন্যদিকে তেমনি প্রয়োজন রয়েছে দক্ষতা, ইচ্ছা শক্তি, উপস্থিত বুদ্ধিসহ নানাবিধ ব্যাক্তিগত যোগ্যতা । শুধুমাত্র পড়ালেখা করে যেমন ব্যবসায়ী হিসাবে সফল হওয়া যায় না তেমনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নানাবিধ যোগ্যতা দিয়েও একটি ব্যবসা সফল করা যায় না ।পৃথিবীতে তাই নানা সময়ে নানা ব্যবসায়ী বিশেষজ্ঞগণ ব্যবসায়ীক জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকার ব্যবসা মডেল উপস্থাপন করেছেন । এখানে তেমনি একটি ব্যবসা মডেল সহজভাবে উপস্থাপন করা হলো ব্যবসায়ীক জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য । একজন উদ্যোক্তা যদি তার ব্যক্তিগত যোগ্যতা দিয়ে এই মডেলটি যথাযথভাবে অনুসরন করতে পারেন তাহলে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে সফল হবার সুযোগ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে ।


 


ব্যবসায়ী পার্টনার নির্ধারন


partner selection partner selection


  • কে/কারা আপনার ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ন পার্টনার হিসাবে বিবেচিত হতে পারে ?

  • এক সঙ্গে পার্টনার হিসাবে কাজ করার জন্য আপনাদের মুল ভিত্তিটা কি হবে ?

  • পার্টনার হিসাবে আপনাদের কি এবং কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে ?

  • পার্টনারদের মধ্যে কে কিভাবে কাজ করবে তা সুনির্দিষ্ট করা?

 


ব্যবসার কার্যক্রম সুনির্দিষ্ট করা


  • ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান হিসাবে কি কাজ করবেন তা সুনির্দিষ্ট করে লিখে রাখুন

 


দক্ষকর্মী বাছাই করুন


skilled employee selection skilled employee selection


  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য কি ধরনের দক্ষকর্মী প্রয়োজন তা নির্ণয় করা ?

  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীবৃন্দকে, কি কাজ করবে তা সুনির্দিষ্ট করা এবং সেই অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ দেয়া?

  • ব্যবসার পণ্য/সেবার সাথে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা যোগ করুন

 


ক্রেতা/ভোক্তা কি সুবিধা চায় তা নির্ণয় করা ?


  • আমরা কোন পণ্য/সেবা ক্রেতা/ভোক্তার কাছে পৌছাতে চাই তা সুনির্দিষ্ট করা ?

  • ব্যবসায়ী পণ্য/সেবার মাধ্যমে ক্রেতা/ভোক্তার কি ধরনের সমস্যা সমাধান করতে চাই তা নির্ণয় করা?

  • পণ্য/সেবার মাধ্যমে কি কি অতিরিক্ত সুবিধা দিতে চাই বা কোন কোন   কারনে আমাদের পণ্য/সেবা অন্যদের চেয়ে আলাদা তা নির্ধারন করা ?

Customer satisfaction Customer satisfaction


ক্রেতার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন


  • ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্রেতা/ভোক্তাদের সাথে কি ধরনের সম্পর্ক তৈরী/ম্যাইনটেইন করতে চাই তা আগে থেকেই নির্ণয় করে রাখা?

  • পণ্য/সেবা ক্রেতার কাছে পৌছে দেবার ব্যবস্থা করুন

  • ক্রেতা/ভোক্তা/ডিলার ইত্যাদি পর্যায়ে পণ্য/সেবা পৌছে দেবার জন্য সুনির্দিষ্ট সার্ভিস এর ব্যবস্থা রাখা ।

  • ক্রেতার অনুভুতি/মতামত সংগ্রহ করুন

  • ক্রেতার মতামত ও অনুভুতিগুলো সংগ্রহ করা এবং সেই অনুযায়ী ক্রেতা/ভোক্তা বিভক্তি (ভাল, কম ভালো, ভালো না, ইত্যাদি) করা ।

  • বিভিন্ন ধরনের ক্রেতা/ভোক্তার জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবা/সুবিধার আয়োজন করা ।

 


সঠিক/সুনির্দিষ্টভাবে ব্যায়/খরচ হিসাব করুন


business book keeping business book keeping


  • ব্যবসার পণ্য/সেবার জন্য ব্যায় (সঠিকভাবে সব ধরনের ব্যায় সঠিকভাবে হিসাব করে) আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট করে হিসাব করুন ।

  • সঠিক/সুনির্দিষ্টভাবে লভ্যাংশ হিসাব করুন

  • ব্যবসার পণ্য/সেবার জন্য লভ্যাংশ (সঠিকভাবে হিসাব করে) আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট করে রাখুন

Collected



ব্যবসা সফল হবার মূলমন্ত্র

Saturday, January 17, 2015

House wiring (হাউস ওয়্যারিং) করার পদ্ধতি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নিন

House wiring (হাউস ওয়্যারিং) করার পদ্ধতি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নিন

কিছু দিন আগে বাড়ি গিয়েছিলাম। আমাদের একটি ঘর ওয়্যারিং করার প্রয়োজন ছিল। বেশি না মাত্র দুইটা রূম। বেশ কয়েকজন ইলেকট্রিশিয়ান দেখার পর মজুরি চাইল ২৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা। পরিচিত হবার কারণে আমাদের কাছে নাকি কম চেয়েছে। উল্লেখ্য কাজটি করতে দুইজন মানুষের সর্বোচ্চ ১.৫ থেকে ২ দিন সময় লাগবে।  যাই হোক মজার ব্যাপার হলো ইলেকট্রিশিয়ানদের মধ্যে কয়েকজনই ছিল Honors লেবেলের ছাত্র। লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু দিনের ট্রেনিং নিয়ে তারা এই কাজ শুরু করেছে।


উপরের ঘটনাটি বলার উদ্দেশ্য হলো আপনারা যারা ছাত্র বা কিছু লেখা-পড়া করেছেন বা যারা কোনরকম লেখাপড়াই করেননি তারা ইচ্ছা করলে সহজেই এই পেশায় আসতে পারেন। অল্প শ্রম দিয়ে আপনি ভাল ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া ইচ্ছা করলে অন্য কাজের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাজ করতে পারবেন।


যারা পেশা হিসেবে নিতে চান না, তাদেরও টুকটাক ইলেকট্রনিক্সের কাজ জেনে রাখা ভাল।


যাই হোক, নিচের বইটি পড়ে আশা করি হাউস ওয়্যারিং এর অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং কাজও করতে পারবেন। যদিও কাজটি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারিক, তবুও আশা করি বইটি আপনাদের উপকারে আসবে।


বৈদ্যুতিক কাজ ঝুঁকিপূর্ণ, তাই সাবধানে কাজ করবেন। আশা করি কোন দুর্ঘটনা হবে না । আপনাদের জন্য সুভকামনা রইল।





House wiring (হাউস ওয়্যারিং) করার পদ্ধতি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নিন

Wednesday, January 14, 2015

রপ্তানি পদ্ধতি

রপ্তানি পদ্ধতি

আলোচিত বিষয়ঃ



  1. এক্সপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ERC)




  2. বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স গ্রহণ ( License from bonded warehouse)




  3. কোলেটারেল সিক্যুরিটি প্রদান ( Collateral Security )




  4. রপ্তানি, আমদানি ও মাল খালাস ( Export, Import and Unloading of Marchendise)




  5. রপ্তানি ডকুমেন্টস তৈরি (Preparation of Export Document)




  6. উৎপাদন সমাপন ( Production Completed)




  7. ক্রেতার পরিদর্শন ( Buyer’s Inspection)




  8. রপ্তানি আনুষ্ঠানিকতা (Pre-shipment Formalities)




  9. রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক ছাড়পত্র বা ক্লিয়ারেন্স




  10. প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (PSI) পদ্ধতি




  11. প্রি-শিপমেন্ট ডকুমেন্ট (Commercial Invoice)




  12. কমার্শিয়াল ইনভয়েস ( Commercial Invoice)




  13. প্যাকিং লিষ্ট (Packing List)




  14. বিনিময় বিল (Bill of Exchange)




  15. এফ.ও.বি. মূল্য, সি.এফ.আর মূল্য এবং সি.আই.এফ. মূল্য (FOB, CFR, & CIF Price )




  16. রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ( Documents for Exports)




  17. বিল অব লেডিং সংগ্রহ (Collection of Bill of Lading)




  18. ভিসা সংগ্রহ (Procuring VISA)




  19. রপ্তানি লাইসেন্স সংগ্রহ (Export License Issue)




  20. সার্টিফিকেট অব অরিজিন সংগ্রহ (Certificate of Origin)




  21. ইন্সপেকশন সার্টিফিকেট (Inspection Certificate)




  22. রপ্তানি কাগজপত্র প্রস্তুতকরণ (Export Document Preparation)




  23. রপ্তানি ডকুমেন্টস নেগোশিয়েশন (Export Document Negotiation)




  24. ডকুমেন্টস সংগ্রহ (Collection of Document)




  25. রপ্তানি বিল আদায় ( Collection of Export Bill )




  26. ব্যাক টু ব্যাক এল সি (Back to back LC)




  27. ক্যাশ বেনিফিট ( Cash Benefit)




  28. রপ্তানিকারক হিসেবে আপনি কী কী বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন



 


এক্সপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ERC)


Export Registration Certificate Export Registration Certificate


এক্সপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ERC) পেতে নিম্নলিখিত ধাপসমূহ অনুসরন করতে হয় ঃ


এক ঃ আমদানি ও রপ্তানির চীফ কন্ট্রোলারের অফিস থেকে ইআরসি ফরম সংগ্রহ করুন ।


দুই ঃ বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের শাখায় সিডিউল ফি জমা দিন।


তিন ঃ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আবেদন ফরম জমা দিন।


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    আবেদনকারীর সত্যায়িত ছবি


২.    ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি


৩.    স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি বা সংশ্লিষ্ট ট্রেড এসোসিয়েশন এর মেম্বারশীপ   সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি


৪.    ট্রেজারী চালানের মূল কপি


৫.    পার্টনারশীপ বিজনেসের ক্ষেত্রে পার্টনারশীপ ডিড (সত্যায়িত কপি)


৬.    লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে


– সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন


– আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশন


– মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন


ফিঃ সিডিউল ফি ৩,০০০.০০ টাকা, নবায়ন ২,০০০.০০ টাকা।


বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ


আমদানি ও রপ্তানির চীফ কন্ট্রোলারের অফিস


১১১-১১৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।


 


বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স গ্রহণ ( License from bonded warehouse)


একশত ভাগ রপ্তানিমুখী হলে আপনি শুল্ক বিভাগ হতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স সুবিধা নিয়ে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি করে খরচ কমাতে পারেন। অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে পণ্য ১০০ ভাগ রপ্তানি করতে হবে। নতুবা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি না করে আপনি শুল্ক, কর ইত্যাদি প্রদান করে কাঁচামাল আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে পণ্য উৎপাদন করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। রপ্তানির পর আপনি ডিউটি ড্রব্যাক বা বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ক্যাশ বেনিফিট পেতে পারেন। ডিউটি ড্র ব্যাক DEDO অফিস থেকে নিয়ম অনুযায়ী দাবি করতে হবে। আর ক্যাশ বেনিফিট ২৫ শতাংশ আপনার ব্যাংক -এর মাধ্যমে আবেদন করে সংগ্রহ করতে হবে।


শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট হতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স -এর আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় দলিলাদি পেশ করতে হবে।


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র


২.    ১০০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তিন কোটি টাকার বন্ড


৩.    ট্রেড লাইসেন্স


৪.    আমদানি নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্র (আইআরসি) শিল্পখাতভূক্ত


৫.    রপ্তানি নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্র (ইআরসি)


৬.    লিমিটেড কোম্পানি হলে মেমোরেন্ডাম ও আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশন এবং সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন


৭.    টিআইএন (টিন)


৮.   ভ্যাট নিবন্ধনপত্র


৯.    ব্যাংক সচ্ছলতার সনদপত্র


১০.   বিজিএমইএ/বিএনটিএমইএ/বিসিসিএমএ/বিটিএমএ বা সংশ্লিষ্ট সমিতি -এর সদস্য সনদপত্র


১১.   বাড়ি ভাড়ার চুক্তি অথবা মালিকানার দলিল


১২.   পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তিপত্র


১৩.   পিডিবি -এর ছাড়পত্র


১৪.   বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃক নিবন্ধনপত্র


১৫.   বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স জারির জন্য বিনিয়োগ বোর্ডের সুপারিশপত্র


১৬.   লাইসেন্স ফি ১০০০ টাকার ট্রেজারি চালান


১৭.   জাতীয়তার সনদপত্র


১৮.   পরিচালকবৃন্দ/মালিকের পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি।


১৯.   মেশিনারিজ আমদানির দলিলাদি


২০.   কারখানার নীল-নকশা ২ সেট


২১.   ফায়ার সার্ভিসের সনদপত্র


২২.   ১০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ঘোষণাপত্র।


ইদানিং বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, শুল্ক ও আবগারি বিভাগের ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন,


ফায়ার বিভাগ থেকে লাইসেন্স, আমদানি-রপ্তানি অধিদপ্তর থেকে ERC, IRC সংগ্রহ করতে হয়।


 


বিস্তারিত তথ্যের জন্য ঃ


কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট


৩৪২/১ সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০


ওয়েব ঃ http://www.nbr-bd.org/


 


রপ্তানি, আমদানি ও মাল খালাস ( Export, Import and Unloading of Marchendise)


এলসি’র শর্ত অনুযায়ী রপ্তানিকারক তারিখ অনুযায়ী মালামাল রপ্তানি করবেন এবং এক সেট শিপিং ডকুমেন্ট ক্রেতা এবং এলসি ওপেনিং ব্যাংকে পাঠাবেন। আপনাকে উক্ত ডকুমেন্ট এলসি নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা করে দেখতে হবে। মূল ডকুমেন্ট ব্যাংক তার নির্দিষ্ট সি এন্ড এফ কে মালামাল খালাস করার জন্য দেবেন। যদি আপনার এলসি ব্যাংক অর্থায়নে না হয় তবে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো সিএন্ডএফ কে দিয়ে খালাস করতে পারবেন। সিএন্ডএফ ঠিক করার সময় অবশ্যই ঐ সিএন্ডএফ এর ভালো মন্দ জেনে তাকে মাল খালাস করতে মূল ডকুমেন্ট দেবেন। অন্যথায় নানা অসুবিধা (খারাপ সিএন্ডএফ হলে) সৃষ্টি হতে পারে।


 


রপ্তানি ডকুমেন্টস তৈরি (Preparation of Export Document)


পণ্যের ডেলিভারী সম্পন্ন করার পর আপনি রপ্তানি ডকুমেন্ট তৈরীর ব্যাপারে রপ্তানি শাখাকে নির্দেশ দেবেন। রপ্তানি পদ্ধতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আপনাকে একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট  (Clearing and Forwarding Agent) নিয়োগ করতে হতে পারে। স্থাণীয় বাজারে পণ্য ডেলিভারীর ক্ষেত্রে সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রয়োজন হবে না। এই ক্ষেত্রে ক্রেতার কাছ থেকে আপনাকে ডেলিভারী চালানসহ পেমেন্ট গ্রহন করতে হবে। বিদেশে আপনার পণ্য শিপিং এর ক্ষেত্রে প্রি-শিপমেন্ট ডকুমেন্ট তৈরী করে তা সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কাছে হস্তান্তর করতে হবে।



উৎপাদন সমাপন ( Production Completed)


যে কোন রপ্তানিমুখী শিল্পে মূল উৎপাদন কাজ শেষ হওয়ার পর পণ্য সামগ্রী ফিনিশিং বিভাগে যাবে। ফিনিশিং বিভাগে যাওয়ার পূর্বে মান নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শন সম্পন্ন করবে। তারপর ফিনিশিং বিভাগ পণ্য সামগ্রীকে রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী কার্টুনজাত করবে।


 


ক্রেতার পরিদর্শন ( Buyer’s Inspection)


ফিনিশিং বিভাগের কাজ শেষ হওয়ার পর এল সি শর্ত অনুযায়ী মূল ক্রেতার পরিদর্শন এজেন্সি কর্তৃক পরিদর্শন করাতে হবে। ক্রেতার প্রতিনিধি পণ্য পরিদর্শন করবেন। কোয়ালিটি ইন্সপেকশন ঠিক মতো হওয়ার পরই পণ্য রপ্তানির অনুমতি পাবে। কোন কারনে পরিদর্শন পরীক্ষায় পাস করতে না পারলে আপনার পণ্য রপ্তানি করা মুশকিল হয়ে পড়বে। তাই গুণসম্পন্ন পণ্য তৈরি করার বিষয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ।


 


রপ্তানি আনুষ্ঠানিকতা (Pre-shipment Formalities)


পরিদর্শন কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধা করার পর আপনার তৈরি পণ্য এল সি শর্ত অনুযায়ী মূল ক্রেতার নিকট রপ্তানি করতে হবে। এজন্য যে যে কাজ করতে হবে তা হচ্ছে-


একঃ আপনার ব্যাংক কর্তৃক রপ্তানি অনুমতিপত্র পাশ করিয়ে নিতে হবে।


দুইঃ কমার্শিয়াল ইনভয়েস ও প্যাকিং লিষ্ট আপনার বাণিজ্যিক বিভাগ রপ্তানি শর্ত অনুযায়ী তৈরি করে নেবে।


 


রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক ছাড়পত্র বা ক্লিয়ারেন্স


যদি আপনি একজন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক এবং কোটা ক্যাটাগরির পণ্য রপ্তানিকারক হন তবে আপনাকে রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো বরাদ্দপত্রের বিপরীতে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। সাধারণত কোটা বৎসর ১ ফেব্র“য়ারী থেকে ৩১ জানুযারী পর্যন্ত হয়ে থাকে।


ইপিবি (EPB) থেকে কোটা ক্লিয়ারেন্স লাভ করতে হলে নিম্নে উল্লিখিত ডকুমেন্টসমূহ জমা দিতে হবেঃ


একঃ মূল এল সি-এর ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত কপি।


দুইঃ কোটা বরাদ্দপত্রের ফটোকপি।


তিনঃ যথাযথভাবে পূরণকৃত ক্লিয়ারেন্স ফরম।


 


প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (PSI) পদ্ধতি


একঃ প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) পদ্ধতি কি এবং কেন? আমদানি পণ্য খালাসে অধিকতর গতিশীলতা আনয়ন ও সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পণ্য জাহাজীকরণের পূর্বে সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত পিএসআই এজেন্ট কর্তৃক পণ্য পরিদর্শনের ব্যবস্থাই হলো পিএসআই পদ্ধতি এবং পণ্য বর্ণনা, শ্রেণীবিন্যাস ও মূল্য প্রত্যায়ন করা পিএসআই এজেন্টের দায়িত্ব।


দুইঃ কোন কোন পণ্যে পিএসআই বাধ্যতামূলকঃ এসআরও নং-১৬২-আইন/ ২০০০/১৮৪৩/শুল্ক তাং ০৮/০৬/২০০০- এ উল্লেখিত সকল পণ্যের ক্ষেত্রে পিএসআই বাধ্যতামূলক।


তিনঃ পিএসআই এজেন্টঃ ৩টি ব্লকএ ৩টি পিএসআই এজেন্ট সরকার নিয়োগ করেছে।


চারঃ   এল সি খোলার সময় অবশ্যই এলাকা অনুযায়ী নিযুক্ত পরিদর্শন সংস্থার নাম উল্লেখ করতে হবে।


পাঁচঃ পিএসআই পদ্ধতি পণ্য আমদানিতে আমাদানিকারককে এসসি খোলার সময় পণ্যের বর্ণনা, শ্রেণীবিন্যাস/ এইচএস কোড ও মূল্য অবশ্যই যথাযথ কিনা সে বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং পিএসআই এজেন্ট পণ্য পরিদর্শনের পর ইস্যুকৃত সিআরএফ (Clean Report of Findings ) বর্ণিত তথ্যাদির সাথে এলসি ও প্রোফরমা ইনভয়েস/ইনডেন্ট -এর সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে।


ছয়ঃ সিআরএফ ( CRF) -এ অসংগতি থাকলে উৎস হতে CRF সংশোধনী শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট মূল/ফ্যাক্স/ইমেইলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।


সাতঃ   বিরোধ নিস্পত্তিঃ CRF  সংশোধনী  PSI এজেন্ট অসম্মতি প্রদান করলে পণ্য খালাসের পর তিন স্তরে পর্যায়ক্রমে বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য আমদানিকারক উদ্যোগ নিতে পারবে এসআরও নং-১৬৩-আইন/২০০০/১৮৪৪/শুল্ক তাং-০৮-০৬-২০০০ অনুযায়ী।


আটঃ কোনো প্রত্যয়নপত্র, পিএসআই আদেশের সাথে অসংগতিপূর্ণ হলে বাণিজ্যিক আমদানিকারক ব্যাংক গ্যারান্টি এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান অঙ্গীকারণামার ভিত্তিতে চালানটি খালাস করে নিতে পারবেন।


নয়ঃ পরিদর্শন সংস্থা আমদানি নিষিদ্ধ কোনো পণ্যের CRF প্রদান করতে এবং আমদানিকারক বা রপ্তানিককারকের সাথে রাজস্ব ফাঁকির উদ্দেশ্যে কোন প্রকার যোগসাজশ করলে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমাদানিকারকও দন্ডিত হবে।


দশঃ  CRF এ উল্লেখিত পণ্য কায়িক পরীক্ষায় ৫% এর অধিক বা পণ্যের বর্ণনা, গুণগতমান ও শ্রেণীবিন্যাস অসংগতিপূর্ণ হলে পরিদর্শন সংস্থা সম্ভাব্য রাজস্ব ক্ষতির দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদন্ডে দণ্ডিত হবে।


এগারোঃ প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশনের পর কিন্তু সিআরএফ ইস্যুর পূর্বে ঋণপত্র বাতিল হলে এলসি ওপেনিং ব্যাংক ও পিএসআই এজেন্টের প্রাপ্য ফি/ সার্ভিস চার্জ প্রদানে বাধ্য থাকবে।


 


প্রি-শিপমেন্ট ডকুমেন্ট (Commercial Invoice)


মূল ক্রেতার নিকট থেকে রপ্তানি অর্ডার লাভের পর আপনার পণ্য রপ্তানির জন্য রপ্তানি ডকুমেন্ট আপনার মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট- এর নিকট হস্তান্তর করতে হবে। এই ডকুমেন্ট দেয়ার সময় নিম্নে উল্লিখিত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবেঃ


এক ঃ কমার্শিয়াল ইনভয়েস (Commercial Invoice)- এর মূলকপি


দুই ঃ মূল প্যাকিং লিষ্ট


তিন ঃ মূল এলসি-এর (Export LC) ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি


চার ঃ মূল কোটা ক্লিয়ারেন্স কপি (তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে)


পাঁচ ঃ ইউপি (UP)  বা ইউডি (UD)  মূলকপি (যদি আপনার পণ্য তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য হয়)


ছয় ঃ রপ্তানি অনুমতিপত্রের (Export Permisson) ব্যাংক সত্যায়িত কপি


সাত ঃ ব্যাংক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ডকুমেন্টের কপি


আট ঃ সিএন্ডএফ কর্তৃক পূরণকৃত শিপিং বিল ( Shipping Bill )


 


কমার্শিয়াল ইনভয়েস ( Commercial Invoice)


এই দলিল রপ্তানিকারক নিজেই প্রণয়ন করেন এবং এতে পণ্যের বিবরন, মূল্য, পরিমান, গুনগত মান, শিপিং চিহ্ন, প্যাকেজ সংখ্যা, ক্রেতার নাম, ঋণপত্র এবং বিক্রয় নম্বর, পণ্যের গ্রেড, আয়তন, জাহাজের নাম, জাহাজজাতকরনের তারিখ, বিল অব লেডিং সংখ্যা প্রভৃতি তথ্য অন্তর্ভূক্ত থাকে। ইনভয়েস ঋণপত্রে উল্লেখিত ক্রেতার বরাররে রপ্তানিকারক তার প্রতিষ্ঠানের লেটার হেডে প্রণয়ন করবে এবং ইনভয়েসের মূল্য, পরিমান ইত্যাদির বিবরন ঋণপত্রের বিবরনের সাথে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।


 


প্যাকিং লিষ্ট (Packing List)


এই দলিলে কন্টেইনার ও বেল সংখ্যা, প্যাকেজ সংখ্যা, মোট ও নীট ওজন, শিপিং চিহ্ন ও নম্বর প্রভৃতি বিবরন অন্তর্ভূক্ত থাকে, যাতে করে ক্রেতা এবং শিপিং কোম্পানির পক্ষে রপ্তানি চালান খুঁজে পাওয়া এবং খালাস করা সহজসাধ্য হয়। প্যাকেজিং সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন এখানে


 


বিনিময় বিল (Bill of Exchange)


বিনিময় বিল সাধারনতঃ দুই অথবা তিন প্রস্থে রপ্তানীকারক কর্তৃক প্রণীত হয়। এটি প্রকৃত পক্ষে দেখিবামাত্র অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ান্তে বিলে উল্লেখিত মূল্য প্রদানের জন্য ক্রেতার উপর প্রদত্ত বিক্রেতার একটি আদেশনামা। এতে ঋণপত্রের নম্বর, তারিখ এবং ঋণপত্র প্রদানকারী ব্যাংকের নাম উল্লেখ থাকে। ঋণপত্রের শর্তানুযায়ী বিনিময় বিল ওপেনিং ব্যাংক অথবা এর যেকোন শাখা অথবা করেসপন্ডেন্ট ব্যাংক অথবা ক্রেতার উপর ড্র করা যেতে পারে।


শর্তভেদে বিনিময় বিল দেখিবামাত্র সি.এ.ডি. ( Cash Against Delivery ) অথবা নির্দিষ্ট সময়ান্তে প্রদেয় হতে পারে। বাংলাদেশে প্রচলিত বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ বিধি অনুযায়ী পণ্য জাহাজীকরনের তারিখ থেকে চার মাসের মধ্যে বিক্রয়লব্ধ আয় দেশে আনয়ন করতে হয়। এজন্য বিনিময় বিলের তারিখ কোন অবস্থাতেই উপস্থাপনের সময় থেকে ১২০ দিনের অধিক হতে পারে না। বিলে বর্নিত মূল্য অবশ্যই ইনভয়েস মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।


 


এফ.ও.বি. মূল্য, সি.এফ.আর মূল্য এবং সি.আই.এফ. মূল্য (FOB, CFR, & CIF Price )


কাঁচামাল এবং শ্রম ব্যয়ের সাথে প্যাকিং, মার্কিং ও লেবেলিং ব্যয় যোগ করে কারখানাপ্রান্ত বা এক্স-ফ্যাক্টরী ব্যয় বের করা হয়। এক্স-ফ্যাক্টরী ব্যয়ের সাথে মূনাফা মার্জিন যোগ করলে এক্স-ফ্যাক্টরী মূল্য পাওয়া যায়। এক্স-ফ্যাক্টরী মূল্যের সাথে


আভ্যন্তরীন পরিবহন ব্যয় এবং ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট-এর কমিশন যোগ করে এফ.ও.বি. ( Free on Board) মূল্য বের করা হয়। এক্ষেত্রে বিক্রয় চুক্তিতে উল্লেখিত সামুদ্রিক বা বিমান বন্দরে জাহাজ বা বিমানে পণ্য তুলে দেয়া পর্যন্ত দায়িত্ব বিক্রেতার। জাহাজ বা বিমানে উত্তোলনের পর পণ্যের ক্ষতি বা বিনষ্টের ঝুঁকি বিক্রেতার পরিবর্তে ক্রেতার উপর বর্তায়। রপ্তানিকারক যদি সি.এফ.আর ( Cost & Freight ) ভিত্তিতে পণ্য বিক্রয়ে ইচ্ছুক হন, তাহলে তাকে এফ.ও.বি. মূল্যের সাথে জাহাজ ভাড়া যোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে পণ্যের গন্তব্য বন্দর পর্যন্ত পরিবহন ব্যয় এবং জাহাজ ভাড়া বিক্রেতাকে বহন করতে হয়। কিন্তু জাহাজে মাল উত্তোলনের পর পণ্যের বিনষ্ট বা ক্ষয়ক্ষতিজনিত ঝুঁকি বা অপ্রত্যাশিত কোন ব্যয়ভার বিক্রেতার পরিবর্তে ক্রেতার উপর বর্তায়। অনুমোদিত শিপিং কোম্পানি অথবা তাঁদের এজেন্ট-এর কাছ থেকে যে কোন লাইনের জাহাজের প্রকৃত ভাড়া হার সংগ্রহ করা যেতে পারে। রপ্তানিকারক যদি সি.আই.এফ. (Cost, Insurance & Freight ) শর্তে পণ্য বিক্রয় করতে চান, তাহলে তাকে পণ্যে ক্ষয়ক্ষতিজনিত ঝুঁকি আচ্ছাদনের নিমিত্তে সামুদ্রিক বীমা পলিসি গ্রহণ করতে হবে। উক্ত পলিসির আওতায় বীমা প্রিমিয়ামের হার ঝুঁকির পরিমানের উপর নির্ভর করে এবং তা পণ্য এবং গন্তব্যস্থল ভেদে কম বেশী হয়ে থাকে। সাধারনতঃ সি.এফ.আর মূল্যের উপর শতকরা ১ ভাগ হারে এই বীমা ব্যয় হিসেব করা হয়। সি.এফ.আর. মূলের সাথে বীমা ব্যয় যোগ করে সি.আই.এফ. মূল্য বের করা হয়।


 


রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ( Documents for Exports)


রপ্তানির জন্য সি এন্ড এফ -এ নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো জমা দিয়ে কাজ শুরু করতে হবেঃ


একঃ শিপিং বিল অব এন্ট্রি ( Shipping Bill of Entry)


দুইঃ   রপ্তানি ঋণপত্র ( Export LC)


তিনঃ কমার্শিয়াল ইনভয়েস ( Commercial Invoice)


চারঃ   প্যাকিং লিস্ট ( Packing List)


পাঁচঃ   ইউডি/ইউপি ( UD/UP)


ছয়ঃ   ভিবিএফ-৯ এ ( VBF-9) [রপ্তানি পণ্য ঘোষণার জন্য শুল্ক কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফরম। সিএন্ডএফ এজেন্ট এই ছাপানো ফরম সরবরাহ করে থাকে।]


সাতঃ ই.এক্স.পি ফরম ( Export Permission Form) [রপ্তানিকারকের ব্যাংক সরবরাহ করে থাকে]


 


বিল অব লেডিং সংগ্রহ (Collection of Bill of Lading)


সি এন্ড এফ কাস্টমস ও বন্দরের প্রয়োজনীয় কার্যাদি সমাধা করে আপনার পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট শিপিং লাইনের জাহাজে পণ্য উঠিয়ে দেবে এবং শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পাশকৃত ডকুমেন্ট আপনাকে হস্তান্তর করবে। শিপিং কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় জাহাজের ভাড়া প্রদান করে আপনাকে বিল অব লেডিং সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে শিপিং আনুষঙ্গিক চার্জসমূহ শিপিং কোম্পানিকে নগদ প্রদান করতে হবে।


 


ভিসা সংগ্রহ (Procuring VISA)


এক্ষেত্রে আপনার রপ্তানি পণ্য যদি পোশাক শিল্প হয় তবে মূল বিল অব লেডিং সংগ্রহ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইসিভুক্ত দেশ হলে ইপিবি (EPB) থেকে নিম্নে উল্লিখিত ডকুমেন্ট দিয়ে ভিসা (VISA ) সংগ্রহ করতে হবেঃ


এক ঃ শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত কিপিং বিল এর মূল কপি এবং অতিরিক্ত এক কপি।


দুই ঃ নন নেগোশিয়েবল বিএল ( BL ) শিপিং কোম্পানি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে।


তিন ঃ ইপিবি কর্তৃক ইস্যুকৃত ক্লিয়ারেন্স ( Clearance ) ও এলোকেশন লেটার (Allocation Letter)


চার ঃ মূল রপ্তানি ঋণপত্রের ( Export LC ) ফটোকপি ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।


পাঁচ ঃ ব্যাক টু ব্যাক এলসি ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।


 


রপ্তানি লাইসেন্স সংগ্রহ (Export License Issue)


আপনার তৈরি পণ্য যদি তৈরি পোশাক হয় তবে EPB থেকে রপ্তানি লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে । তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য রপ্তানি ক্ষেত্রে ইপিবি রপ্তানি লাইসেন্স ইস্যু করে থাকে। উক্ত লাইসেন্স নেয়ার জন্য যেসকল ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবেঃ


একঃ সিও (CO)-এর দুই কপিসহ মূল এক্সপোর্ট লাইসেন্স পূরণ করে যা EPB কর্তৃক সরবরাহ করা হয়েছে দিতে হবে।


দুইঃ বি জি এম ই কর্তৃক ইস্যুকৃত আই ডি কার্ড


তিনঃ EPB কর্তৃক সরবরাহকৃত ই/এস আবেদন ফরম


চারঃ ইনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট


পাঁচঃ কমার্শিয়াল ইনভয়েস


ছয়ঃ নন নেগোশিয়েবল বিল অব লেডিং


সাতঃ শিপিং বিল (ফটোকপি বা মূল)


 


সার্টিফিকেট অব অরিজিন সংগ্রহ (Certificate of Origin)


ইসিভুক্ত দেশে আপনার পণ্য রপ্তানি করলে EPB থেকে সার্টিফিকেট অব অরিজিন (CO) সংগ্রহ করতে হবে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে অনেক সময় এলসিতে উল্লেখ না থাকলে প্রয়োজন পড়ে না। সিও সংগ্রহ করার জন্য নিম্নে উল্লিখিত ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হবেঃ


একঃ আবেদনকারী কর্তৃক পূরণকৃত সিও সেট


দুইঃ শিপিং বিল ( Shipping bill) শুল্ক কর্তৃক অনুমোদিত


তিনঃ নন নেগোশিয়েবল বিল অব লেডিং ( Non-negotiable Bill of Lading)


চারঃ রপ্তানি ঋণপত্র (Export LC) ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত


পাঁচঃ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র ( Back to Back LC) ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।


ছয়ঃ ১০০ টাকার পে অর্ডার


সাতঃ বিজিএমইএ কর্তৃক ইস্যুকৃত আই ডি কার্ড


আটঃ ইনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট (বর্তমানে)


নয়ঃ সিও আবেদন ফরম (ইপিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত)


দশঃ ভিসা উইং ফরম (ইপিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত)


এগারোঃ কর্মাশিয়াল ইনভয়েস


বারোঃ প্যাকিং লিস্ট


 


বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ


রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো


১.    কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫


ফোনঃ ৯১৪৪৮২১-৪, ৮১৫১৪৯৬, ৯১২৮৩৭৭, ৮১১২৪২৭, ৮১১৩২৪৭, ৮১৪৩২৪৭, ৮১৪৩২৪৮


ওয়েবঃ http://www.epb.gov.bd


 


ইন্সপেকশন সার্টিফিকেট (Inspection Certificate)


যে কোন রপ্তানি ঋণপত্রের term অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির পূর্বে মূল ক্রেতা বা তার নিয়োগকৃত এজেন্ট পণ্য রপ্তানিযোগ্য কিনা পরীক্ষা করে একটি Inspection Certificate প্রদান করেন। সার্টিফিকেট রপ্তানিকারকের জন্য খুবই জরুরি। এই সার্টিফিকেট লাভের জন্য স্থানীয় এজেন্ট-এর নিকট নিম্নে উল্লিখিত ডকুমেন্ট জমা দিতে হবেঃ


এক ঃ কমার্শিয়াল ইনভয়েস ( Commercial Invoice) এক কপি


দুই ঃ প্যাকিং লিস্ট ( Packing List) এক কপি


তিন ঃ বি এল (BL) এক কপি


চার ঃ ভিসা, লাইসেন্স, সি ও ( VISA, License, CO) প্রতিটি এক কপি


পাঁচ ঃ অন্য যে কোন ডকুমেন্ট মূল ঋণপত্র অনুযায়ী জমা দিতে হবে।


 


রপ্তানি কাগজপত্র প্রস্তুতকরণ (Export Document Preparation)


আপনার পণ্য রপ্তানির পর রপ্তানি বিভাগ ব্যাংকে দাখিল করার জন্য উল্লিখিত রপ্তানি ডকুমেন্ট তৈরী করবেন। এই সকল ডকুমেন্ট রপ্তানি ঋণপত্রের টার্ম অনুযায়ী তৈরী করতে হবে।


এক ঃ বিনিময় বিল (Bill of Exchange)


দুই ঃ কর্মাশিয়াল ইনভয়েস (Commercial Invoice)


তিন ঃ প্যাকিং লিস্ট ( Packing List)


চার ঃ বেনিফিশ্যারি স্টেটমেন্ট (Beneficiary’s Settlement)


পাঁচ ঃ এম সি ডি স্টেটমেন্ট ( MCD Statement)


ছয় ঃ কোটা স্টেটমেন্ট (Quota Statement) যদি তৈরি পোশাক শিল্পের তৈরি পণ্য হয়ে থাকে।


সাত ঃ ওজনের তালিকা বা মাপের তালিকা (Weight List/ measurement)


আট ঃ অন্য কোন জরুরি ডকুমেন্ট, যদি ক্রেতা কর্তৃক মূল রপ্তানি ঋণপত্রের ঞবৎস অনুযায়ী প্রয়োজন পড়ে।


 


রপ্তানি ডকুমেন্টস নেগোশিয়েশন (Export Document Negotiation)


রপ্তানি ঋণপত্রের টার্ম অনুযায়ী নেগোশিয়েশন করার জন্য আপনাকে জরুরি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি করে ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। যে সকল ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন পড়ে, তার একটা তালিকা পেশ করা হলোঃ


এক ঃ   ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।


দুই ঃ   বিল অব এক্সচেঞ্জ একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক স্বাক্ষরিত


তিনঃ যথাযথ স্বাক্ষরিত কমার্শিয়াল ইনভয়েস


চারঃ মূল বিএল বা এফসিআর বা এডবি−উবি বা এইচএডবি−উবি (Original BL or FCR or AWB or HAWB) মূল রপ্তানি ঋণপত্র অনুযায়ী সংযুক্ত করতে হবে।


পাঁচঃ প্যাকিং লিস্ট ( Packing List)


ছয়ঃ ইন্সপেকশন সার্টিফিকেট ( Inspection Certificate)


সাতঃ বেনিফিশ্যারির স্টেটমেন্ট (Beneficiary Statement )


আটঃ যে কোন চেম্বার কর্তৃক ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট অব অরিজিন অথবা কান্ট্রি অব অরিজিন (Certificate of Origin or Country of Origin)


নয়ঃ ভিসা/ লাইসেন্স/ সার্টিফিকেট অব অরিজিন/ জিএসপি )। যদি তৈরি পোশাক শিল্প হয় তখন উক্ত ডকুমেন্ট ঊচই থেকে সংগ্রহ করতে হবে।


দশঃ এম সি ডি ( Multiple Country Declaration ) যথাযথ স্বাক্ষরিত হতে হবে।


এগারোঃ ইএক্সপি ( Export Permission) শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।


বারো ঃ ইন্সুরেন্স পলিসি ( Insurance Policy)


তেরোঃ   অন্য যে কোনো ডকুমেন্ট যা এলসি বা ক্রেতা (Buyer) কর্তৃক চাওয়া হয়ে থাকে প্রভৃতি।


উপরে উল্লিখিত ডকুমেন্টসহ যখন আপনি আপনার রপ্তানি ডকুমেন্ট ব্যাংকে জমা দেবেন তখন ব্যাংক অফিসার LC term অনুযায়ী ডকুমেন্ট চেক করে ঠিক থাকলে নেগোসিয়েশান করবেন। নেগোসিয়েশন ত্বরান্বিত করা এবং যদি ভুলত্রুটি থেকে থাকে তা শুদ্ধ করা অথবা দলিল জমা না দেওয়া থাকলে তা সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে রপ্তানিকারকের নেগোসিয়েটিং ব্যাংকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা উচিত। বড় ধরনের ত্রুটিবিচ্যুতির ক্ষেত্রে সংগ্রহ ভিত্তিতে (Collection basis) ক্রেতা ব্যাংকের কাছে দলিলপত্র পাঠানো যেতে পারে এবং সেক্ষেত্রে তা সত্বর গ্রহণের জন্য অনতিবিলম্বে রপ্তানিকারকের ক্রেতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা উচিত।


 


ডকুমেন্টস সংগ্রহ (Collection of Document)


ব্যাংক বিভিন্ন কারনে Negotiation এর পরিবর্তে Collection এর জন্য ডকুমেন্ট পাঠাতে পারেন। নিম্নে কয়েকটি কারন উল্লেখ করা হলোঃ


এক ঃ বিলম্বে রপ্তানি ( Late Shipment)


দুই ঃ বিলম্বে উপস্থাপন ( Late Present)


তিন ঃ একক মূল্যের পার্থক্য ( Unit price differ) LC এবং Commercial Invoice-এ হতে পারে।


চার ঃ অতিরিক্ত দাবি ( Over draft)


পাঁচ ঃ বিল অব লেডিং-এ কোন মারাত্মক ভ্রান্তি ( Major Discrepancy in BL)


ছয় ঃ এল সি এবং অন্য ডকুমেন্টে কোম্পানির নাম ঠিকানার পার্থক্য (consignee name and address differ)


 


রপ্তানি বিল আদায় ( Collection of Export Bill )


রপ্তানি দলিলপত্রসমূহ নেগোসিয়েশন করার পর আপনার ব্যাংক DHL Courier -এর মাধ্যমে ৩ দিনের মধ্যে মূল দলিল আপনার ক্রেতার ব্যাংকে পাঠাবেন। ব্যাংক থেকে নিয়ম অনুযায়ী ২১ দিনের মধ্যে আপনার পেমেন্ট আইনত হবে। এই জন্য নিম্নের কাজগুলো আপনার Commercial section কে করতে হবে।


একঃ মূল ক্রেতাকে আপনার পক্ষ থেকে রপ্তানি প্রেরনের তারিখ DHL নম্বরসহ Fax -এর মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে।


দুইঃ সম্ভব হলে LC Term অনুযায়ী এক সেট রপ্তানির ডকুমেন্ট আপনার ক্রেতার নিকট প্রেরণ করতে হবে।


তিনঃ প্রতিদিন ব্যাংকে খোঁজ নিতে হবে পেমেন্ট এসেছে কি না।


চারঃ সাতদিন পর ক্রেতাকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যাতে ২১ দিনের পূর্বে Payment Release করে দেয়।


পাঁচঃ আপনার অফিসে রপ্তানি ডকুমেন্ট এর একটি ফাইল রাখতে হবে। এই ফাইলে সব ডকুমেন্ট -এর কপি থাকবে।


ছয়ঃ যদি আপনার অফিসের সকল কাজ কম্পিউটারে হয়ে থাকে, তবে কম্পিউটার এন্ট্রি ঠিক সময়ে দিতে হবে যাতে নিয়মিত আপনি ফলোআপ করতে পারেন।


সাতঃ আপনার অফিসের একাউন্টস সেকশন-এ অনুরূপ এন্ট্রি দিয়ে দিতে হবে।


আপনার রপ্তানিকৃত পণ্যের কাঁচামাল যদি ব্যাক টু ব্যাক এল সি-এর মাধ্যমে এনে থাকেন, তখন রপ্তানি বিলের অর্থ দ্রুত আদায় করা আপনার জন্য খুবই জরুরি। আর যদি ক্যাশ বা অন্য যে কোনভাবে কাঁচামাল আমদানি করে থাকেন তখন রপ্তানি বিলের অর্থ আদায়ে তেমন কোন দায় থাকে না। কিন্তু তবুও ব্যাংকের অন্যান্য পাওনা পরিশোধের জন্য দ্রুত রপ্তানি বিল আসাটা খুবই জরুরি। আপনি যত আমদানি ঋণপত্রের দায় পরিশোধ করবেন তত কম সুদ আপনাকে দিতে হবে। তাই আপনাকে দ্রুত দায় পরিশোধে সচেষ্ট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাক টু ব্যাক এল সি না করেও  EDF- Export Development Fund )-এর সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। তাতে সুদের পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু বাংলাদেশে কিছু ব্যাংক EDF ফান্ড ব্যবহার করে না, ফলে ব্যাংকের গ্রাহকদের উচ্চহারে লভ্যাংশ দিয়ে ব্যবসা করতে হয়। আপনার রপ্তানি ঋণপত্রের আয় যে দিন পাবেন সেদিনই আমদানি ঋণপত্রের দায় পরিশোধ করবেন। তাতে সুদের পরিমাণ কম আসবে। ফলে কোম্পানির বেশ সাশ্রয় হবে।


 


ব্যাক টু ব্যাক এল সি (Back to back LC)


ব্যাক টু ব্যাক এলসি’র মাধ্যমে রপ্তানিকারক রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয়, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রস্তুতকরণ এবং প্যাকেজিং এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করে। ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজনঃ


একঃ এলসি খোলার আবেদন


দুইঃ এলসি আবেদন ফরম


তিনঃ ইনডেন্ট/ প্রোফর্মা ইনভয়েস


চারঃ এলসিএফ


পাঁচঃ আমদানি অনুমতি (আইএমপি ফরম)


ছয়ঃ ইন্সুরেন্স কাভার নোট


সাতঃ রপ্তানি এলসির মূল কপি


 


ক্যাশ বেনিফিট ( Cash Benefit)


বাংলাদেশী রপ্তানিকারকদের জন্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে Cash benefit প্রথা অব্যাহত আছে। সরাসরি রপ্তানি (Direct Export ) ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানি ( Deemed Export), দুই ক্ষেত্রে প্রায় একই রকম ডকুমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হয়। ২ বছর পূর্বে এই Incentive রপ্তানিকারকগণ সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পেতেন। বর্তমানে রপ্তানিকারকগণ নিজ নিজ ব্যাংক-এর মাধ্যমে এই অর্থ পেয়ে থাকেন। সরাসরি রপ্তানিকারকগণকে যে সকল ডকুমেন্টসহ ক্যাশ বেনিফিটের জন্য আবেদন করতে হয় তা হচ্ছে-


একঃ কোম্পনির ফরওয়ার্ডিং লেটার।


দুইঃ সঠিকভাবে পূরন করা আবেদন ফরম।


তিনঃ রপ্তানি এলসি কপি।


চারঃ ব্যাক টু ব্যাক এলসি কপি, ক্যাশ মেমো, ব্যাংক ড্রাফট, পেঅর্ডার, চেক, কমার্শিয়াল ইনভয়েস,   চালান, ট্রাক, কাঁচামালের উৎসের সত্যতা যাচাই এর রিসিট।


পাঁচঃ বিএল বা এডবি−উবি (এয়ার ওয়ে বিল) এর সত্যায়িত কপি।


ছয়ঃ শিপিং বিল এর সত্যায়িত কপি।


সাতঃ পিআরসি (প্রসিডস্ রিয়েলাইজেশন সার্টিফিকেট)


আটঃ ফরেন কমিশনের ফ্রেইট সার্টিফিকেট।


নয়ঃ ব্যাংক সার্টিফিকেট (বিবিএলসি কপিসহ)


দশঃ ইআরসি কপি।


এগারোঃ বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট সার্টিফিকেট।


বারোঃ ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট।


তেরঃ ইউটিলাইজেশন ডিক্লিয়ারেশন/ ইউটিলাইজেশন পারমিশন কপি।


চৌদ্দঃ বিটিএমএ সার্টিফিকেট কপি।


প্রচ্ছন্ন শিল্পের রপ্তানির পর  Cash Benefit  লাভের জন্য সরাসরি রপ্তানির মতো উপরে উল্লিখিত ১৪ টি ডকুমেন্ট দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আরও ৪টি অতিরিক্ত ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। সেগুলো হচ্ছেঃ


একঃ ক্রেতার ব্যাংক কর্তৃক অরিজিনাল মাস্টার/ এক্সপোর্ট এলসি সার্টিফিকেট।


দুইঃ ক্রেতার ইনভয়েসের সার্টিফিকেট কপি।


তিনঃ ক্রেতার এক্সপোর্ট এলসির ফ্রেইট সার্টিফিকেট।


চারঃ ক্রেতার এক্সপোর্ট এলসির পিআরসি (প্রসিডস্ রিয়েলাইজেশন সার্টিফিকেট)।


 


রপ্তানিকারক হিসেবে আপনি কী কী বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন


দ্রুত রপ্তানি উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। প্রয়োজনবোধে সুযোগ-সুবিধার পরিধি বাড়াতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। রপ্তানিকারক হিসেবে এ সকল সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আপনি একদিকে যেমন আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সাধন করতে পারেন অপরদিকে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণে বলিষ্ট ভূুমিকা পালন করার গৌরব অর্জন করতে পারেন।


রপ্তানিকারকগনকে নিম্নোক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়ঃ


  •  ন্যূনতম ৮০% রপ্তানিমুখী চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১০০% রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে ঘোষনা প্রদান;

  •    ন্যূনতম ৮০% রপ্তানিমুখী অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১০০% রপ্তানিমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান;

  •    এক্সপোর্ট ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কীম (ইসিজিএস) এর পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান;

  •   আমদানি নির্ভর ও রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা প্রদান;

  •    বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ডিউটি ড্র ব্যাক প্রাপ্তির সুবিধা প্রদানের দ্বারা রপ্তানিকারকদের সহায়তা প্রদান;

  •    আকাশপথে ফলমূল ও শাক সব্জি সহ বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত সকল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত হারে বিমান ভাড়ার সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদেশী এয়ারলাইন্সের কার্গো সার্ভিসের সুবিধা সম্প্রসারনের জন্য রয়্যালটি প্রত্যাহার;

  •    কৃষি পণ্যসহ দেশীয় কাঁচামালের দ্বারা প্রস্তুতকৃত মূল্য সংযোজিত পণ্যের রপ্তানিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে রপ্তানির বিপরীতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান;

  •    ইএক্সপি ফরম ও শিপিং বিল দাখিল সাপেক্ষে এলসি ব্যতিরেকে বায়িং কণ্ট্রাক্ট, চুক্তি, পারচেজ অর্ডার কিংবা এডভান্সড পেমেন্ট ভিত্তিতে রপ্তানির সুযোগ প্রদান;

  •    ফ্যাশন ইনস্টিটিউট স্থাপন;

  •    গ্রে-কাপড় আমদানির সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানির বিধি-নিষেধ শিথীল;

  •    রেয়াতী হারে বীমা প্রিমিয়াম;

  •    পণ্য জাহাজীকরনের জন্য ওয়েভার প্রদান: রপ্তানি পণ্য পরিবহনে অহেতুক বিলম্ব পরিহারের উদ্দেশ্যে ওয়েভার প্রাপ্ত ক্ষেত্রসমূহ ব্যতিরেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক রপ্তানি পন্য দ্রুত পরিবহনের সুবিধার্থে কেউ যদি বিমান চার্টার করতে চান তাহলে সরকারের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে;

  •    সর্বোচ্চ ও বিশেষ অগ্রাধিকারভূক্ত খাতের অন্তর্ভুক্ত পণ্যের জন্য বিভিন্ন প্রকার সুবিধা প্রদান;

  •    শাক-সব্জি ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য রাজশাহী ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিমান বুকিং সুবিধা প্রদান;

  •    প্রত্যাহার অযোগ্য এবং সুদৃঢ় রপ্তানি ঋণপত্রের/ বিক্রয় চুক্তির বিপরীতে শতকরা ৯০ ভাগ পর্যন্ত রপ্তানি ঋণ প্রদানের সুবিধা প্রদান;

  •    কাঁচামাল ক্রয়/ আমদানির সুবিধার্থে অভ্যন্তরিন/বৈদেশিক ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্র খোলার সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানিকারকদের বিদেশ সফরের জন্য প্রাপ্য বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে ক্রেডিট কার্ড প্রদান;

  •    রপ্তানিমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানিকারকগণ কর্তৃক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের সুযোগ প্রদান;

  •    রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উন্নয়ন, বহুমুখীকরন, বাজার উপযোগীকরন ও বিপনন সুবিধা সম্প্রসারনের জন্য রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল [এপোর্ট প্রমোশন ফান্ড, ইপিএফ] গঠন;

  •    সাবকণ্ট্রাকটিং ভিত্তিক রপ্তানিতে উৎসাহ ও সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানি পণ্যের নমুনা প্রেরণের ক্ষেত্রে বর্ধিত হারে বার্ষিক সীমা নির্ধারণ;

  •    রপ্তানি ঋনের মেয়াদকাল ১৮০ দিন হতে ২৭০ দিন বর্ধি তকরন;

  •    কর অবকাশ (Tax Holiday) প্রদান;

  •    তৈরী পোশাকের প্রতি ক্যাটিগরীতে শুল্কমুক্ত ভাবে নমুনা আমদানির অনুমতি প্রদান;

  •   পণ্য উন্নয়ন নমুনা আমদানির সুবিধা বৃদ্ধি;

  •    আমদানিকারক ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা প্রদান;

  •    বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রদান;

  •    রপ্তানী উন্নয়ন বু্যুরো কর্তৃক জাতীয় রপ্তানি প্রশিক্ষন কর্মসূচীর আওতায় রপ্তানি বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রদান;

  •    ফ্ল্যাট রেট ভিত্তিতে ডিউটিড্র-ব্যাক প্রাপ্তির সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর রেয়াত;

  •    আন্তর্জাতিক দরপত্রের অধীনে বৈদেশিক মুদ্রায় স্থানীয় প্রকল্পাধীনে সরবরাহকৃত পণ্যকে প্রচ্ছন্ন রপ্তানি হিসেবে গণ্যকরন এবং সকল রপ্তানির সুযোগ-সুবিধা প্রদান;

  •    প্রত্যাহার-অযোগ্য ঋণ পত্রের অধীনে সাইট পেমেন্ট ভিত্তিতে যদি রপ্তানি করা হয়, তাহলে রপ্তানিকারককে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র জমা দেয়ার শর্তে বাণিজ্যিক ব্যাংক ওভারডিউ সুদ ধার্য করবে না;

  •    কৃতি রপ্তানিকারকদের অনুকূলে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান;

  •    রপ্তানি সাফল্যের মাফকাঠিতে নির্বাচিত রপ্তানিকারকদের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব (কমার্শিয়াল ইম্পরটেন্ট পারসন সিআইপি) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান;

  •    রপ্তানি সহায়ক সার্ভিসের উপর ভ্যাট প্রত্যর্পন সহজীকরন;

  •    রপ্তানি শিল্পের ক্ষেত্রে বন্ড সুবিধা;

  •    বিদেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও একক প্রদর্শনী আয়োজন এবং অন্যান্য বাজার উন্নয়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং;

  •    অন্ট্রাপো ও পুনঃরপ্তানির সুযোগ প্রদান।

সস্পূর্ণ লেখা নেয়া হয়েছে এখান থেকেঃ  ড. নূরুল কাদির ও অন্যান্য (২০০৯) এসএমই বিজনেস ম্যানুয়াল, ১ম এডিশন., ঢাকা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন



রপ্তানি পদ্ধতি

ব্যবসা সম্পর্কিত প্রচলিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

ব্যবসা সম্পর্কিত প্রচলিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন : আমি ব্যবসা করতে চাই। কী ধরনের ব্যবসা করা উচিত?


উত্তর : যে ব্যবসার মধ্য দিয়ে আপনি একজন মানুষকে সেবা দিতে পারবেন, প্রতারণা নয়। একটা ভালো পণ্য একজনের হাতে তুলে দেয়াটাও একটা সেবা, একটা ইবাদত। একটা ভালো খাবার একজনের হাতে তুলে দেয়াটাও একটা সেবা। কিন্তু সফট ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস, মদ বা ড্রাগস তুলে দেয়াটা সেবা নয়। অতএব যেখানে আপনি সেবা করতে পারবেন সততার সাথে সেটাই আপনার ব্যবসা হতে পারে। প্রতিটি ব্যবসাতেই সেবা করার সুযোগ আছে, যদি আপনার সে মানসিকতা থাকে।


 


 


প্রশ্ন : আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করি। আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা চাকরির পর ব্যবসা করবো।


উত্তর : অধিকাংশ চাকরিজীবী এই ভুলটা করেন। এ কারণে তাদের পেনশনের টাকা তারা ভোগ করতে পারেন না। কারণ যখন পেনশনের টাকা বা গ্রাচুয়িটির টাকা পান-এই ১০, ১৫ বা ২০ লাখ টাকা তারা কোনো আংকেল, ভাতিজা বা ছেলের বন্ধুর সাথে ব্যবসায় খাটান এবং এই টাকাটা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। যত রিটায়ার্ড অফিসার বিনিয়োগ করেছেন, এর ৯৯ ভাগই তাদের বিনিয়োগ ফেরত পান নি।


কিছু পুঁজি নিয়ে যেকোনো একটা কিছু শুরু করে দিলেই সেটা ব্যবসা হয় না। ব্যবসায় সফলতা পেতে হলে ব্যবসা বুঝতে হয়, অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। প্রতিটি ব্যবসার যে নিজস্ব সাফল্যের গোপন রহস্য আছে, সেটা জানতে হয়। ধরুন, আপনি একটি সফটওয়্যার ফার্ম খুললেন। আপনি যদি এ সম্পর্কে না জানেন, ইঞ্জিনিয়ার হয়তো তিন মিনিটের কাজকে বলবে-এটা অনেক কঠিন কাজ, জটিল কাজ, তিন মাস লাগবে। আপনি যেহেতু জানেন না এটা তিন মাস লাগবে না তিন মিনিট লাগবে, আপনার তাকে বিশ্বাস করা ছাড়া উপায় থাকবে না। আপনার ব্যবসায় লস হবে।


সারাজীবন চাকরির পর ব্যবসা করাটা আপনার পক্ষে সহজ নয়। এই টাকা ব্যবসায় না খাটিয়ে ব্যাংকে রেখে দিলেই তো আপনার মাসের খরচের টাকা উঠে আসে। আর অবসরে না গিয়ে পুরো সময়টাই আপনি আত্মিক উন্নয়ন ও সৃষ্টির সেবায় ফাউন্ডেশনে কোয়ান্টিয়ার হিসেবে আত্মনিয়োগ করতে পারেন। এতে আপনি একদিকে যেমন সুস্থ থাকবেন, অন্যদিকে আপনার পারলৌকিক মুক্তির পথও প্রশস্ত হবে।


 


 


প্রশ্ন : চার বছর বিদেশে ছিলাম। এখন বাংলাদেশে চলে এসেছি। কষ্টার্জিত অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করবো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। ভয় হয় যদি লস হয়। এ ব্যাপারে আপনি কোনো উপদেশ দিলে উপকৃত হবো।


উত্তর : কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ না করে এই অর্থের সাথে কীভাবে শ্রম বিনিয়োগ করতে পারেন সে চিন্তা করুন। শুধু টাকা বিনিয়োগ করলে হয় না। এর সাথে শ্রম ও বুদ্ধি বিনিয়োগ করতে হবে। আর ব্যবসা করার আগে ব্যবসা বুঝতে হবে। প্রত্যেকটা ব্যবসার রহস্য আছে। সেই রহস্যটি বুঝতে হবে। ব্যবসায় নামার আগে, বিনিয়োগ করার আগে তাই ব্যবসাটা বোঝার চেষ্টা করুন। অথবা সেই ব্যবসাই শুরু করুন যা আপনি বোঝেন, সেটা যত ছোটই হোক না কেন। তাহলে আপনি টাকাকে পুঁজিতে রূপান্তরিত করতে পারবেন।


 


 


প্রশ্ন : আমি যে চাকরিটা করছি তাতে বেতন ভালো কিন্তু কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমি এটা বদলে এমন কিছু করতে চাই যা ক্যারিয়ারকে অনেক দূর নেবে। ভাবছি স্বাধীন ব্যবসা করবো। কিন্তু পরিবারের সহযোগিতা পাওয়া যাবে কি না জানি না। এদিকে চাকরিতে মোটেও মনোযোগ দিতে পারছি না।


উত্তর : পরিবারের সহযোগিতার অপেক্ষায় যদি থাকেন তাহলে ব্যবসায় সফল হবার সম্ভাবনা কম। ব্যবসা করার জন্যে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। পৃথিবীতে যত বিত্তবান দেখবেন, তারা সবাই শুরু করেছেন শূন্য থেকে।


বিল গেটস কত টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন? অথচ আমরা জানি, সাম্প্রতিক কয়েক বছর ধরে তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনকুবের। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। পত্রিকার হকারি থেকে ২৫ ডলার জমিয়ে ১৪ বছর বয়সে তিনি একটা যন্ত্র কেনেন। এই হলো ব্যবসার শুরু। আজ তিনি দুই লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকার মালিক।


মুন্নু সিরামিকের হারুনুর রশীদ খান মুন্নু, ৭৫ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আকিজ মিয়া বিড়ি বানাতেন। পরে অন্য ব্যবসা ছাড়াই শুধু বিড়ি ফ্যাক্টরি থেকেই বছরে ছয় কোটি টাকা ট্যাক্স দিতেন আজ থেকে ১৫ বছর আগে। তারা তো কারো কাছে হাত পাতেন নি।


অর্থাৎ আপনাকে শুরু করতে হবে যা আছে তা দিয়ে। আপনি যদি মনে করেন পরিবার আমাকে সহায়তা করছে না, ঠিক আছে, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আমি গার্মেন্টস বিক্রি করবো। তাহলে আপনি বায়িং হাউস করতে পারবেন। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি করতে পারবেন, সবকিছু করতে পারবেন।


 


 


প্রশ্ন : আমি অনার্স শেষ করে সম্প্রতি মাস্টার্সও পাশ করেছি। পেশাগত জীবনে আমার ইচ্ছা উদ্যোক্তা হওয়া। কিন্তু বার বার বিভিন্ন ভীতি মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। কোনো সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারছি না। অনেকে বলছে-আগে চাকরি করে পরে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিও। কিন্তু এটি আমার আবেগ ও ভীতির মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে। কীভাবে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে আমি উদ্যোক্তা হতে পারি? এক্ষেত্রে বাস্তব পদক্ষেপ কেমন হতে পারে? উল্লেখ্য, আমি কোনো কাজ একটু করার পর পূর্ণ গতি থাকে না। এটা কীভাবে দূর করা সম্ভব?


উত্তর : আগে ঠিক করতে হবে আপনি কী করবেন এবং ব্যবসা আপনি বোঝেন কি না। ব্যবসা যদি ফুটপাত থেকে শুরু করতে পারেন, আপনি খুব ভালো উদ্যোক্তা হতে পারবেন। কারণ সংকোচ জড়তা সিদ্ধান্তহীনতা থাকলে কেউ ব্যবসা করতে পারে না, কেউ উদ্যোক্তা হতে পারে না। সিদ্ধান্ত নেয়ার নাম হচ্ছে উদ্যোগ। সবসময় মনে রাখবেন, পৃথিবী সাহসী মানুষের জন্যে এবং যে ব্যবসা করতে চান সেটা শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।


আমরা অধিকাংশই ভুল করি কোথায়? আমরা টাকাপয়সা যোগাড় করে ব্যবসা শুরু করি। আমরা সবসময় মনে করি যে, এই করবো, ওই করবো, রিভলভিং চেয়ার থাকবে সেখানে বসবো। তিনটা টেলিফোন থাকবে, পাঁচ জন সেক্রেটারি থাকবে। যার ফলে ব্যবসা হয় না, টাকাপয়সা নষ্ট হয়।


ব্যবসার জন্যে শুরুতেই টাকার কোনো প্রয়োজন নেই। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ুন। আপনি ব্যবসা করতে পারবেন। রাস্তা থেকে আপনি প্রাসাদে উঠবেন।


আমাদের দেশে উদ্যোক্তা কী রকম? একজন তার বন্ধুকে বলছে যে, চল, আমরা তিন বন্ধু মিলে ফ্যাক্টরি বানাবো। প্রস্তাবটা খুব মজার। বন্ধুর জায়গাটা ব্যাংকের কাছে বন্ধক দিয়ে লোন নেবে। সেই লোন থেকে প্রথমে তিন বন্ধু তিনটা লেক্সাস গাড়ি কিনবে। এই হচ্ছে ব্যবসার শুরু! এদের না কোনোদিন ফ্যাক্টরি হবে, না সে ঋণ কোনোদিন শোধ হবে। আসলে যে ব্যবসা শূন্য থেকে শুরু হয় তা-ই এগিয়ে যায় পূর্ণতায়।


সাহস এবং বিশ্বাস ছাড়া উদ্যোগ নেয়া যায় না। মরলে এর সাথে মরবো, বাঁচলে এর সাথে বাঁচবো-এই চিন্তা আপনাকে অমর করবে। যে জিনিসের জন্যে জীবন দিতে প্রস্ত্তত থাকবেন সেই জিনিস আপনাকে অমর করবে।


 


 


প্রশ্ন : আমি বিগত আট বছর যাবত ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসাগত লেনদেনে আমি নিজে সবসময় পরিশোধ করি সঠিক সময়ে। কিন্তু আমার পাওনা খুব কমই আমি সময়মতো পাই। যার জন্যে আমাকে প্রায়ই সমস্যায় পড়তে হয়। এ ব্যাপারে আমার করণীয় কী


উত্তর : ব্যাপারটা খুব সহজ। আমি আগে কোনো কাজ করালে মজুরি যা হবে সব দিয়ে দিতাম। দেখতাম, কাজটা পাঁচ দিনেও হয় না। পরে বুঝলাম, সে যেহেতু মজুরি পেয়েই গেছে অতএব কাজটা তার কাছে গুরুত্বহীন হয়ে গেছে। একজন পরামর্শ দিলেন যে, এ সমস্ত ক্ষেত্রে কাজ হওয়ার আগে দেবেন ১০%, হওয়ার পরে দেবেন ৯০%। দেখবেন, আপনার কাজটা সময়মতো হয়ে যাবে। দেখলাম যে, তা-ই হচ্ছে।


আপনাকেও এরকম কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ জিনিসপত্র দিলেও একটু প্যাঁচ রেখে দিতে হবে যাতে সে টাকাটা দিতে বাধ্য হয়। আবার আটকে রাখছেন এটাও বোঝানো যাবে না।


 


 


প্রশ্ন : স্বাধীন পেশা বা ব্যবসা করার পূর্বে চাকরি করা প্রয়োজন, এতে ব্যবসা শেখা যায়-এ সম্পর্কে জানতে চাই।


উত্তর : এটা ঠিক। তবে সেক্ষেত্রে আপনি যে ব্যবসায় যেতে চান সে ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট জায়গায় আপনাকে চাকরি করতে হবে। আপনি যদি ফটোগ্রাফির ব্যবসায় যেতে চান, তাহলে ফটোগ্রাফির দোকানে চাকরি নিতে হবে। কাজটা আপনাকে শিখতে হবে, কাজের রহস্যগুলো বুঝতে হবে, বুঝে তারপর ব্যবসা করতে হবে।


অর্থাৎ যেকোনো ব্যবসায় নামার আগে সে ব্যবসা বুঝতে হবে এবং যে চাকরিতে গেলে এই ব্যবসা সবচেয়ে সুন্দরভাবে বোঝা যাবে, বেতন যা-ই হোক তাতেই যেতে হবে।


আর ব্যবসায় সফল হওয়ার কৌশল খুব সহজ। সনাতন ধর্ম অনুসারে ব্যবসার দেবতা গণেশ। গণেশের দেহটা মানুষের, আর মাথাটা হাতির। অর্থাৎ দেহটা মানুষের আর মাথাটা পশুর। অতএব ব্যবসা করতে হলে দেহটুকুই মানুষের থাকবে-যদি খুব বড়, অনেক বড় ব্যবসা করতে চান। সাধারণভাবে আপনার মধ্যে পশুর যে ঝঁৎারাধষ ওহংঃরহপঃ-এটা তীব্র থাকতে হবে যে, ব্যবসা ছাড়া আপনি আর কিছু বোঝেন না। আপনি ব্যবসাতে তখন খুব ভালো করবেন।


ব্যবসায়ে সফল হতে হলে যে সূত্রে আপনাকে এগুতে হবে তা হলো- পুঁজি + উদ্যম + শ্রম + ব্যবস্থাপনা + বিপণন।


 


 


প্রশ্ন : বন্ধুদের দেখাদেখি শুরু করেছিলাম ফ্যাশন ওয়্যারের বিজনেস। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা দামি মার্কেটে সাজানো-গোছানো দোকানের খরচ ওঠাতেই ধার-দেনার অবস্থা। এখন কী করবো?


উত্তর : আপনি এখানেই ভুল করেছেন। ব্যবসা করতে গিয়ে হুজুগে মেতে ওঠার প্রবণতাটা আমাদের অনেকেরই আছে। সবাই যেখানে যাচ্ছে সে ব্যবসার পেছনেই আমরা ছুটি। কিন্তু এটা বুঝতে হবে যে, প্রতিটি পাত্রের যেমন একটা ধারণক্ষমতা আছে, তেমনি প্রতিটি খাত বা ব্যবসার চূড়ান্ত মাত্রা বা ধারণক্ষমতা আছে যার পরে আর ঐ ব্যবসায়ে বিস্তৃতির কোনো সুযোগ থাকে না। যারা প্রথমে যায়, তারাই মূলত লাভবান হয়। পরে যারা আসে তাদের আখেরে তেমন কিছুই জোটে না।


বাংলাদেশে যখন আশির দশকে প্রথম গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু হলো, আমি যেহেতু এস্ট্রলজি চর্চা করতাম, অনেককেই বললাম-গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি করুন। তারা বললেন যে, ‘কী! দর্জির দোকান দেবো আর বাড়ির মেড-সার্ভেন্টদের চাকরি দেবো’? তারা গার্মেন্টস ব্যবসায় গেলেন না। আর যারা গেলেন সেই প্রথম উদ্যোক্তারাই কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন।


যখন প্রথম কেউ একটা জিনিস শুরু করে, সবসময় মাখন সে-ই পেয়ে যায়। যেরকম-মোবাইলের প্রথম মাখন খেলো সিটিসেল, ১০ বছর। তারপরে মাখন যেটুকু ছিলো-গ্রামীণ। এখন হাড্ডি নিয়ে কামড়াকামড়ি হচ্ছে, তারপরেও আরো নতুন নতুন কোম্পানি আসছে। গ্রামীণ যা লাভ করে গেছে! একটু চিন্তা করে দেখুন যে, প্রতি মিনিটে কলরেট একসময় ছিলো- একটা জোনের মধ্যে চার টাকা, ইন্টারজোন হলে ১২ টাকা। তারপর তারা বললো, ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান মোবাইল ওয়ান রেট-সাত টাকা। এখন ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান মোবাইল ওয়ান রেট এক টাকার কম। তারপরও তো তারা লাভ করছে। তাহলে যখন সাত টাকা ছিলো, কী পরিমাণ লাভ করেছে? এটা কেন? যেহেতু তারা আগে এসেছে। অর্থাৎ ব্যবসার জন্যে প্রয়োজন নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করা।


২০ বছর আগের কথা। এক যুবক ভুয়া আদমব্যাপারীর পাল্লায় পড়েছিলো। বিদেশে গেল, ওখানে গলাধাক্কা খেয়ে ফিরে এসে আমার সাথে দেখা করতে এলো। তাকে বললাম, আপনি কী করতে পারবেন? কী আছে আপনার? যা আছে তা নিয়েই শুরু করুন।


সে বললো, গ্রামে আমার এখনো একটা বাড়ি আছে, একটা পুকুর আছে। পুকুরের পাশে আমার বিঘাখানেক জমি আছে।


বললাম, চিন্তা করুন-এ থেকে কী করা যায়। খুব বুদ্ধিমান ছিলো সে। বললো, আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে। আমি কাউকে জানাতে পারছি না। যাকে বলি সে-ই বলে পাগল।


আমি বললাম, খুব ভালো। আমি তো এরকম পাগলদের খোঁজই করি সবসময়। সে বললো, আমার এই পুকুরটাকে দুই ভাগ করবো। একভাগে মাগুর মাছ চাষ করবো, আরেকভাগে ব্যাঙ চাষ করবো। এর সাথে কেঁচোর চাষ করবো। ব্যাঙের তো পা ছাড়া অন্য অংশ কাজে লাগে না। এগুলো মাটিতে পুঁতে দেবো দুই পুকুরের মাঝখানে, যেখানে কেঁচো থাকে। কেঁচো এগুলো পছন্দ করে, কেঁচো এগুলো খাবে। আবার, ব্যাঙ কেঁচো খুব পছন্দ করে। ব্যাঙ কেঁচো খায়। ব্যাঙকে কেঁচো খাবে আবার কেঁচোকে ব্যাঙ খাবে। একটা খাদ্যচক্র। ব্যাঙাচি হচ্ছে মাগুর মাছের সবচেয়ে প্রিয় খাবার। প্রচুর ব্যাঙাচি হবে, ওদেরকে মাগুর মাছ খাবে।


তার যে টাকা নষ্ট করেছিলো সেই টাকা দুই বছরে উসুল হয়ে গেল। ব্যাঙাচি খেলে মাছ খুব দ্রুত বাড়ে। মাগুর মাছ খুব দ্রুত বাড়তে লাগলো। মাগুর মাছ বিক্রি করছে, ব্যাঙের পা বিক্রি করছে। ব্যাঙের অবশিষ্টাংশ মাটিতে পুঁতে দিচ্ছে। সেটা খেয়ে কেঁচো বড় হচ্ছে। কেঁচো খেয়ে ব্যাঙ বড় হচ্ছে। ব্যাঙাচি খেয়ে মাগুর মাছ বড় হচ্ছে।


চার/ পাঁচ বছর পরে আবার সে এলো, চমৎকার চেহারা। বললো, এখন আমার কোনো অভাব নেই। এখন আমি চিন্তা করছি নির্বাচনে দাঁড়াবো।আমি বললাম, নির্বাচন করে কী হবে? সে বললো, এখন তো আল্লাহর রহমতে টাকাপয়সার অভাব নাই। আমি বললাম, টাকাপয়সা বাড়াতে থাকেন। মানুষের কিছু উপকার করেন। সে বললো, উপকার করার জন্যেই তো নির্বাচন। আমি বললাম, নির্বাচন করে উপকার করতে পারবেন না। নির্বাচন করতে গেলেই আপনার উপকারের পরিমাণ কমে যাবে। কারণ যারা আপনাকে নির্বাচিত করবে তখন তাদের ফুট-ফরমায়েশ, তাদের মনোরঞ্জন করতে করতে আপনার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।


চিন্তার নতুনত্ব তাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, সে এখন প্রচুর টাকার মালিক। নির্বাচন করতে গেলেই তো অনেক টাকা লাগে। নষ্ট করার মতো এত টাকা তার হয়ে গেছে।


ব্যবসা যখন করবেন, আপনাকে এই বুদ্ধি, এই নতুনত্ব, এই মেধাটাকে প্রয়োগ করতে হবে। চিন্তা করতে হবে-নতুন কোন ক্ষেত্রে তা করা যায়। ছোট হোক, কিন্তু নতুন ক্ষেত্র। কারণ সেখানে আপনিই প্রথম-দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন প্রতিযোগিতা ছাড়া।


 


 


 


প্রশ্ন : আমার এক পরিচিতজন আছে, তার ভাগ্য খুব ভালো। খরিদ্দাররা তার দোকান ছাড়া কেনে না। আমার কেন যেন এ ব্যাপারে ভাগ্য খুব খারাপ।


উত্তর : এটা ভাগ্য নয়। এটা তার নিয়ত, তার দৃষ্টিভঙ্গি। আসলে একজন ব্যর্থ এবং সফল ব্যবসায়ীর মধ্যে পার্থক্য হলো-ব্যর্থ ব্যবসায়ী চিন্তা করে ‘কত দ্রুত লাভ করা যাবে’। আর সফল ব্যবসায়ী লাভ কম করে। সে তার ক্রেতার ওপর গুরুত্ব দেয়, যাতে এ লোকটি সবসময় এই দোকান থেকে কেনে। সফল ব্যবসায়ী অল্প লাভ করে বেশি জিনিস বিক্রি করে আর ব্যর্থ ব্যবসায়ী অল্প জিনিস বিক্রি করে বেশি লাভ করতে চায়।


অল্প জিনিস বিক্রি করে আপনি যদি বেশি লাভ করতে চান তবে আপনার ব্যবসা টিকবে না। একবার ঠকবে, দুইবার ঠকবে, তৃতীয়বার ক্রেতা আর আপনার কাছে আসবে না। এ প্রসঙ্গে একজন সফল ব্যবসায়ী একবার বলছিলেন, সাধারণ ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে লাভ করতে চায়। বিক্রি করে আসলে লাভ করা যায় না। লাভ করতে হয় কেনার সময়।


সন্তুষ্ট হলে আপনার ক্রেতারাই নতুন ক্রেতা নিয়ে আসবে। আর ক্রেতার সন্তুষ্টি নির্ভর করছে আপনার ওপর। এক তো হচ্ছে আপনার পণ্যের মান হতে হবে এমন যাতে ক্রেতা মনে করতে পারেন ভালো পণ্য কিনতে হলে আপনার দোকানই একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। আপনার কাছেই তাকে আসতে হবে। এই যে মামা পেঁয়াজু-প্রথম সে শুরু করেছিলো একটা টং দিয়ে। কিন্তু এখন শুধু পেঁয়াজু বিক্রি করে তার ঢাকা শহরে চারটা বাড়ি। কেন পেরেছে? ক্রেতার সন্তুষ্টি। যে কিনছে, সে নিজেকে প্রতারিত মনে করছে না। যেমন, এখনকার কিছু চাইনিজ জিনিসপত্র একবার কিনলে আর দ্বিতীয়বার কেনার ইচ্ছে হয় না। এর মধ্যে একজন এসে বললো, আট গিগাবাইটের পেনড্রাইভ একবার ঢোকালে আর দ্বিতীয়বার চলে না। চীনারা যে মার্কেট দখল করছিলো-এই দুই নম্বর কোম্পানিগুলো চীনাদের মার্কেটের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।


দ্বিতীয়ত, আপনার দোকানে যদি আরো কর্মচারী থাকে, ক্রেতার প্রতি তাদের আচরণ কেমন হচ্ছে সেদিকেও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, আপনার কর্মচারীরা কি ক্রেতাকে যথাযথ সম্মান দেয়? মনোযোগ দিয়ে তার কথা শোনে? আন্তরিকভাবে জিনিস দেখায়? কোনো কারণে ক্রেতা পণ্য কিনতে না চাইলে তাকে কি কটু মন্তব্য করে? দোকানে ক্রেতা এলে আপনি এবং আপনার কর্মচারীরা কি খুশি হন? শুকরিয়া আদায় করেন?


অতএব দোকানের বিক্রি বাড়াবার জন্যে এই বাস্তব পদক্ষেপগুলো নিন। সবসময় ইতিবাচক থাকুন। সাধ্যমতো দান করুন। দেখবেন, ভাগ্য আপনার অনুকূলে চলে আসবে।


 


 


প্রশ্ন : আমরা দুজনে একটা প্রতিষ্ঠান চালাই কিন্তু আমার পার্টনার মাঝে মাঝেই বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। মাঝে মাঝে তাকে চতুর মনে হয়। আমি বেরিয়ে যেতে চাইলে সে হাত-পা ধরা শুরু করে। এরকম বেশ কয়েকবার হয়েছে। অনেকে আমাকে আলাদা প্রতিষ্ঠান করতে বলে এবং আমি জানি তা আমি পারবো। আপনি বলে দিন-আমি কী করতে পারি?


উত্তর : ‘পার্টনার মাঝে মাঝেই বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। মাঝে মাঝে তাকে চতুর মনে হয়।’ তার মানে পার্টনারের প্রতি আপনার আস্থা নেই। এটা না হলে তো আপনি পার্টনারশিপ বিজনেস করতে পারবেন না। কারণ পার্টনারশিপটাই হচ্ছে আস্থা বা বিশ্বাসের ব্যাপার।


এ ব্যাপারে ‘বে-ইস্টার্ন’ গ্রুপের জাকি-মোশাররফ জুটি এক চমৎকার উদাহরণ। ৫০ বছর আগে প্রথম যখন শুনলাম জাকি মোশাররফ, আমি ভাবলাম ‘জাকি মোশাররফ’ মানে একজন। পরে যখন তাদের অফিসে গেলাম, দেখলাম-দুজন মানুষ। একজন জাকিউদ্দিন আহমেদ, আরেকজন মোশাররফ হোসেন। এত বিশ্বস্ত পার্টনারশিপ খুবই বিরল। একইসাথে ব্যবসা করছেন, যেখানে যান একসাথে যান। বাড়ি করেছেন, সেটাও পাশাপাশি এবং একই ডিজাইন। দাওয়াত করলেও দুজনকেই করতে হয়। কারণ একজনকে ছাড়া আরেকজন যান না। ১২ তম ব্যাচে দুজন একসাথে কোয়ান্টাম মেথড কোর্স করেছেন। অর্থাৎ এটা হলো পার্টনারশিপ যে, আপনারা একে অপরকে সবকিছুতে সবসময়ই পাশে পাবেন। বিশ্বাস করতে পারবেন।


পার্টনারশিপ গড়ার আগেই আপনাকে চিন্তা করতে হবে-যাকে আমি পার্টনার করছি তার সাথে আমি চলতে পারবো কি না। কারণ, যাকে বিশ্বাস করতে পারবেন না তার সাথে আপনার ব্যবসা বেশিদিন চলবে না। আজ হলেও ভাঙবে, কাল হলেও ভাঙবে।


যৌথ ব্যবসার ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা হচ্ছে-আমরা এখনো সামন্তবাদী বা তালুকদারি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করছি, সঙ্ঘের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলতে পারছি না। আমরা মনে করি-আমি আমার মতন বুঝি, আমি চলবো আমার মতো। আর এর ফলেই আমরা বড় কিছু করতে পারি না।


অথচ দেখুন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে। ১৬০০ সালে কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হলো, তার দেড়শ বছর পর ১৭৫৭ সালে তারা এই উপমহাদেশ দখল করলো এবং ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উপমহাদেশের ক্ষমতা হারালো।


অর্থাৎ একটা কোম্পানি ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত ১০০ বছর একটা উপমহাদেশ দখল করে থাকলো। কত প্রজন্ম এই কোম্পানি চলেছে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারি। যারাই এই সঙ্ঘ-সংস্কৃতি অনুসরণ করেছে তারাই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রক হয়েছে।


 


 


প্রশ্ন : ভেবেছিলাম ব্যবসা শুরু করবো। কিন্তু আমার চেহারা দেখলে সবাই কেমন করে যেন বুঝে ফেলে-আমাকে ঠকানো যায়। কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না।


উত্তর : যদি ব্যবসা করার যোগ্যতা থাকে আর আপনাকে দেখে যদি মনে হয় যে, আপনাকে ঠকানো যায় তাহলে তো খুব ভালো। আপনি জেনেশুনে খুব সরলতার ভান করতে থাকুন। অন্যরা ভাববে যে, তারা আপনাকে ঠকাচ্ছে। আসলে ঠকছে সে নিজে। এটা তো একটা বড় গুণ যে, কাউকে দেখে মনে হয় তাকে ঠকানো যায় কিন্তু আসলে সে তা নয় এবং সে অন্যদের এ অভিসন্ধিটা বুঝতেও পারে। আর এরকম ক্ষেত্রে তাকে কেউই ঠকাতে পারে না। উল্টো যে ঠকাতে চায় সে-ই ঠকে যায়।


 


প্রশ্ন : আমি একজন ব্যবসায়ী, দুইটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটাতে সর্বদা একটু সমস্যা লেগে থাকে। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানটি আকারে বড় অর্থাৎ বিনিয়োগ বেশি। আমি কী করতে পারি? দয়া করে জানালে উপকৃত হবো।


উত্তর : বড় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আরো মনোযোগী হতে হবে। মনোযোগী হলেই সমস্যা সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে। অর্থাৎ যেখানেই সমস্যা সেখানেই আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে।


 


 


 


প্রশ্ন : আগামী মাসে আমি বিজনেস শুরু করতে যাচ্ছি। মনে জোর পাচ্ছি না। ভয় হচ্ছে যদি লোকসান হয়? ভয়ে আমি ঘুমাতে পারি না। কী করবো?


উত্তর : আসলে নিজের মনের ভেতরে আগে সাহস আনতে হবে। বিশ্বাস আনতে হবে। ভয় পাওয়া মানেই হচ্ছে নিজের ওপরে বিশ্বাসের অভাব রয়েছে। বিশ্বাস যখন আসবে তখন ভয়টা এমনিতেই কেটে যাবে। সাহস করতে না পারলে কেউ কখনো বড় কাজ করতে পারে না। আসলে যুক্তিসঙ্গত সীমার মধ্যে কোনোটাই ঝুঁকি নয় যদি বিশ্বাস এবং সাহস থাকে। কারণ আপনি এমন কিছু করতে যাচ্ছেন না যেটা এর আগে কেউ করে নি। এর আগে যেহেতু কেউ না কেউ পেরেছে অতএব আপনিও পারবেন। কাজেই লোকসানের ঝুঁকি নয়, আপনার অন্তর্গত ভয়ই হচ্ছে আপনার বাধা।


আর ব্যবসায়ে যদি আপনি এই নিয়ত নিয়ে নামতে পারেন যে, আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের সেবা দেবেন, আপনার কর্মীদের একটা ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ দেবেন তাহলে আপনাকে কখনো লোকসানের ভয়ে ভীত হতে হবে না। একটা উদাহরণ দেই।


বিশ্ববিখ্যাত প্যানাসনিক কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা কনসুকি মাতসুশিতা জন্মেছিলেন ১৮৯৪ সালে পশ্চিম জাপানের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। জুয়াড়ি বাবার অপরিণামদর্শিতার ফলে সবকিছু খুইয়ে পরিবারটি যখন পথে বসতে যাচ্ছিলো তখন আট ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট নয় বছর বয়সী মাতসুশিতা বাইসাইকেলের দোকানে ফুটফরমাশের কাজ করে ধরেন পরিবারের হাল। কিছুদিনের মধ্যেই সেটি ছেড়ে যোগ দেন ওসাকা লাইট কোম্পানিতে। দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার কারণে একের পর এক পদোন্নতি পেয়ে ইন্সপেক্টরের পদে উন্নীত হলেও স্বপ্ন ছিলো তার আরো বড়। ভাবনা ছিলো মানুষকে কীভাবে আরো সেবা দেয়া যায়। উদ্ভাবন করলেন নতুন এক ধরনের লাইট-সকেট, প্রচলিতগুলোর চেয়ে যা অনেক ভালো।


কিন্তু মালিক এর উৎপাদনে রাজি হলেন না। অগত্যা-‘বল বল আপন বল’। চাকরি ছেড়ে দিলেন। স্ত্রী এবং তিনজন মাত্র সহকারী নিয়ে মাতসুশিতা শুরু করলেন তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান। অর্থ নেই, ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা নেই এবং প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া বা ইলেকট্রিক বাল্ব উৎপাদনে কোনোরকম অভিজ্ঞতা নেই-এমন সহকারীদের নিয়ে একটানা কয়েক মাস কাজের পর তারা সফল হলেন। উৎপাদন তো হলো। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে দেখা দিলো বিপত্তি। পাইকারি বিক্রেতারা তার পণ্য নিতে চাইলো না পরিমাণে কম বলে। লেগে থাকলেন মাতসুশিতা। গুণগত মান বাড়িয়ে দিলেন। দাম কমালেন ৫০%। পত্রিকায় পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়ার অভিনব উপায় তিনিই প্রথম চালু করেন। হু হু করে বাড়তে লাগলো তার বিক্রি।


১৯২২ সাল নাগাদ মাতসুশিতার প্রতিষ্ঠান প্রতিমাসেই নতুন নতুন পণ্য নিয়ে হাজির হতে লাগলো। ব্যবসাক্ষেত্রে মাতসুশিতা দিলেন এক যুগান্তকারী ধারণা। প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে বাজারে প্রচলিত পণ্যের চেয়ে অন্তত ৩০% ভালো পণ্য দিতে হবে আর দাম কমাতে হবে অন্তত ৩০%। আফটার সেল সার্ভিস দেয়ার ধারণাটি মাতসুশিতাই চালু করেন।


কর্মীদের তিনি নিজ পরিবারের সদস্য বলে ভাবতেন। মহামন্দার সময় কোম্পানিগুলো যখন কর্মী ছাঁটাই করে মন্দা মোকাবেলার চেষ্টা করছিলো মাতসুশিতা তখন উৎপাদন কর্মীদের বিক্রয়কাজে নিয়োজিত করে চেষ্টা করেছেন ছাঁটাই না করে কীভাবে চলা যায়। সে সময় কর্মীদের আধবেলা কাজ করালেও বেতন দিতেন পুরোবেলার। এই ভালবাসার প্রতিদানও তিনি পেয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মিত্রবাহিনীর অভিযোগের মুখে কোম্পানি প্রধানের পদ ছেড়ে দিতে হলেও তার কর্মীরাই তাকে আবার ফিরিয়ে আনে কোম্পানিতে। তিনি বলতেন, একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শুধু তার শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থই রক্ষা করবে না, রক্ষা করবে সমাজের স্বার্থও।


আপনি যদি মনে করে থাকেন-এত দান-দক্ষিণা করে মাতসুশিতার কী লাভ হলো, তাহলে ভুল করবেন। ১৯৮৯ সালে ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যুর সময় তার ব্যক্তিগত সম্পদেরই পরিমাণ ছিলো তিন বিলিয়ন ডলার। ২০ হাজার কর্মীসমেত তার প্রতিষ্ঠান ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ইলেকট্রনিক কোম্পানি। আমেরিকার কোনো ভিসিআর বিক্রির দোকানে গিয়ে যদি আপনি ব্র্যান্ড ভিসিআর খোঁজেন তাহলে দেখবেন সবগুলোই মাতসুশিতার।


আপনিও এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজে নেমে পড়ুন। কখনো লস করবেন না।


 


 


প্রশ্ন : আমি ইটের ব্যবসা করতে চাইছি। কিন্তু আমি মহিলা। আমার পক্ষে এ ব্যবসা কতটুকু শোভন হবে?


উত্তর : এটা কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েটসুলভ কোনো কথা হলো না। কারণ আমি বহু মহিলাকে ইট ভাঙতে দেখেছি। আর আপনি তো ইটের ব্যবসা করবেন। মহিলারা যদি ইট হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুঁড়া গুঁড়া করতে পারে আর আপনি ইটের ব্যবসা করতে পারবেন না এটা একটা কথা? তবে বাস্তবে ইটভাটা চালাতে হলে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়। এর চেয়ে আরো অনেক ধরনের ব্যবসা আছে, যা করা আপনার জন্যে সহজ হবে।


Collected from: Quantum Method



ব্যবসা সম্পর্কিত প্রচলিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

আমদানি পদ্ধতি

আমদানি পদ্ধতি

আলোচিত বিষয়



  1. ইমপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট (IRC)




  2. এল সির মাধ্যমে আমদানি: এল সি-এর ধরন নির্ধারন




  3. এল সি খোলার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন




  4. কোলেটারেল সিক্যুরিটি প্রদান ( Collateral Security )




  5. শিল্প কারখানার মূল মেশিন/ পণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি ( Necessary Documents for Imports of Machinaries )




  6. মূল যন্ত্রপাতি আমদানি ঋণপত্র খোলা (Opening the LC of Principle Machineries )




  7. এল সি পরীক্ষা করা (Examining the LC)




  8. রপ্তানি, আমদানি ও মাল খালাস ( Export, Import and Unloading of Marchendise)




  9. বিনিময় বিল (Bill of Exchange)




  10. এফ.ও.বি. মূল্য, সি.এফ.আর মূল্য এবং সি.আই.এফ. মূল্য (FOB, CFR, & CIF Price )




  11. আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ( Documents for Import)




  12. বিল অব লেডিং সংগ্রহ (Collection of Bill of Lading)




  13. ব্যাক টু ব্যাক এল সি (Back to back LC)



 


 


ইমপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট (IRC)


ইমপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট পেতে নিম্নলিখিত ধাপসমূহ অনুসরন করতে হয়ঃ


একঃ আমদানি ও রপ্তানির চীফ কন্ট্রোলারের অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করুন।


দুইঃ বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের শাখায় সিডিউল ফি জমা দিন।


তিনঃ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আবেদন জমা দিন।


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    ট্রেড লাইসেন্স


২.    পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩ কপি)


৩.    টিন নম্বর


৪.    চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ বা সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশন হতে মেম্বারশীপ সার্টিফিকেট


৫.    ট্রেজারী চালানের মূল কপি


৬.    পার্টনারশীপ বিজনেস হলে পার্টনারশীপ ডিড এর কপি


৭.    লিমিটেড কোম্পনির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, আর্টিক্যাল অব এসোসিয়েশন, মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন


 


Import Certificate


বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ


আমদানি ও রপ্তানির চীফ কন্ট্রোলারের অফিস


১১১-১১৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।


 


এল সির মাধ্যমে আমদানি: এল সি-এর ধরন নির্ধারন


প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন ধরনের এলসি আপনি খুলতে চান। বর্তমান নিয়ম অনুসারে তিন ধরনের আমাদানিকারকদের জন্য এলসির প্রচলন আছেঃ


এক ঃ বাণিজ্যভিত্তিক আমদানিকারক


দুই ঃ শিল্পভিত্তিক আমদানিকারক


তিন ঃ     WES (Wage Earner’s Scheme) এর আওতায় আমদানিকারক।


বর্তমানে নিম্নলিখিত ১২ প্রকার এলসির প্রচলন আছে ঃ


১.    Revocable LC


২.    Irrevocable LC


৩.    Confirmed LC


৪.    Transferable LC


৫.    Divisible LC


৬.    Revolving LC


৭.    Restricted LC


৮.   Red-clause LC


৯.    Green clause LC


১০.   Back to back LC


১১.   With Recourse LC


১২.   Without Recourse LC


 


এল সি খোলার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন


বাণিজ্যিক এলসি খুলতে ব্যাংক আপনাকে নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট দিবেঃ


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    এলসি আবেদন ফরম


২.    এলসিএ ফরম ( Letter of Credit Authorization Application Form)


৩.    আইএমপি ফরম


৪.    টিএম ফরম


৫.    চুক্তি ফরম


৬.    চার্জ ডকুমেন্ট


৭.    গ্যারান্টি ফরম


 


Cash/WES এলসি খোলার জন্য ডকুমেন্ট ঃ


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    এলসি খোলার আবেদন


২.    এলসি আবেদন ফরম


৩.    ইনডেন্ট/ প্রোফর্মা ইনভয়েস


৪.    লেটার অব ক্রেডিট অথরাইজেশন ফরম


৫.    ইমপোর্ট পারমিট


৬.    চার্জ ডকুমেন্ট


৭.    ইন্সুরেন্স কাভার নোট


আপনাকে উপরে উল্লিখিত ফরমসমূহ পূরন করতে হবে এবং সত্যতা যাচাই ও স্বাক্ষরের পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    ট্রেড লাইসেন্স


২.    আমদানি রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট


৩.    আয়কর বা টিন


৪.    ভ্যাট সার্টিফিকেট


৫.    মেম্বারশীপ সার্টিফিকেট


৬.    মেমোরেন্ডাম অব আর্টিক্যাল


৭.    রেজিষ্টারড ডিড (পার্টনারশীপ ফার্মের ক্ষেত্রে)


৮.   রেজুলেশন (পার্টনারশীপ ফার্মের ক্ষেত্রে)


৯.    ছবি


১০.   ইন্সুরেন্স কাভার নোট ও প্রিমিয়াম প্রদানের রশিদ


১১.   ইনডেন্ট/ প্রোফর্মা ইনভয়েসের কপি।


 


LC Flow Chart LC Flow Chart


কোলেটারেল সিক্যুরিটি প্রদান ( Collateral Security )


প্রজেক্ট লোনের আওতায় এলসি খুলতে ব্যাংকে কোলেটারেল সিক্যুরিটি প্রয়োজন হয়।


ইকুইটেবল মরগেজ দেওয়ার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট দিতে হয়ঃ


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    মেমোরেন্ডাম অব টাইটেল ডিড (সম্পত্তির মালিকের)


২.    পারসোনাল গ্যারান্টি (সম্পত্তির মালিক দেবেন)


৩.    সম্পত্তির মূল দলিল


৪.    মিউটেশন রেকর্ড


৫.    খাজনার রসিদ (হাল নাগাদ)


৬.    সি এস পরচা


৭.    এস এ পরচা


৮.   আর এস পরচা


৯.    নন ইনকামব্রেন্স সার্টিফিকেট (চার্জসহ)


১০.   ভ্যালুয়েশন সার্টিফিকেট


১১.   ল’ইয়ার সার্টিফিকেট


১২.   অ্যাফিডেভিট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক


১৩.   রেজিস্টার্ড ইরেভোকেবল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি


প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে আরও প্রয়োজন ঃ


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    বোর্ড এর রেজুলেশন (পরিচালকবৃন্দের)


২.    সকল পরিচালকের পারসোনাল গ্যারান্টি


৩.    মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশনের কপি


৪.    জয়েন্ট স্টক কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট


৫.    জয়েন্ট স্টক কোম্পানি কর্তৃক চার্জ ডকুমেন্ট


 


শিল্প কারখানার মূল মেশিন/ পণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি ( Necessary Documents for Imports of Machinaries )


আমদানিকৃত মেশিন/ পণ্য এবং আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদি কাস্টমস থেকে ছাড় করতে হলে নিম্নলিখিত দলিলপত্রাদি ব্যাংক অনুমোদিত সিএন্ডএফ -এর নিকট হস্তান্তর করতে হবেঃ


এক ঃ বাণিজ্যিক চালান ( Commercial Invoice  ), মোড়ক তালিকা ( Packing list), বিল অব লেডিং ( BL ) বা এয়ার ওয়ে বিল (AWB) বা ট্রাক রসিদ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক Endorsement  করতে হবে।


দুই ঃ   যদি বাণিজ্যিক চালান (   Commercial Invoice   ), মোড়ক তালিকা (Packing list), বিল অব লেডিং (BL) বা এয়ার ওয়ে বিল (AWB) বা ট্রাক রসিদ এর মূল কপি পাওয়া না যায় সে ক্ষেত্রে Copy Document Non-negotiable Document -এর সাথে  Indemnity Endorsement করতে হবে যা সংশ্লিষ্ট Shipping line থেকে সংগ্রহ করতে হবে।


তিন ঃ এলসি কর্তৃত্ত্বায়ন ( LCA) ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদন (Endorsement) করতে হবে।


চার ঃ প্রোফরমা চালান (Proforma Invoice/indent) আমদানি ঋণপত্র, রপ্তানি ঋণপত্র এবং বীমার ফটোকপি ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে।


পাঁচ ঃ Utilization Declaration (UD) যা বিজিএমইএ কর্তৃক ইস্যু করা হয়।


ছয় ঃ   জেনারেল বন্ড লাইসেন্স এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স লাগবে।


সাত ঃ শুল্ক দরখাস্ত ফরম ডক কাস্টমস হাউস হতে সংগ্রহ করে আমদানিকারককে দস্তখত করতে হবে।


মেশিনপত্রের কোন চালান কাস্টমস হতে ছাড়াতে হলে নিম্নের দলিলপত্রাদি সি এন্ড এফ এর কাছে হস্ত ান্তর করতে হবে।


উল্লিখিত দলিলপত্রাদি থেকে রপ্তানি ঋণপত্র, ইউডি, জেনারেল বন্ড লাইসেন্স ও বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স বাদ দিতে হবে এবং তদসঙ্গে নতুনভাবে নিম্নলিখিত কাগজপত্রাদি লাগবে


এক ঃ ৫০০ টাকার স্ট্যাম্পে দুইজন সাক্ষীসহ আমদানিকারকের অঙ্গীকারনামা


দুই ঃ মূল ক্যাটালগ


তিনঃ ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র। অর্থাৎ ব্যাংক এই মর্মে সার্টিফিকেট দেবে যে, আপনি ব্যাংকে সন্তোষজনকভাবে লেনদেন করছেন।


 


মূল যন্ত্রপাতি আমদানি ঋণপত্র খোলা (Opening the LC of Principle Machineries )


যখন কোন ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি কোন নতুন শিল্প ইউনিট স্থাপনের জন্য ব্যাপক ঋণের অনুমতি পান, তখন তিনি মূল প্রকল্পের জন্য মেশিন আমদানির এলসি খুলতে পারেন। যদি উক্ত ব্যবসায়ী শিল্প কারখানা স্থাপন না করে শুধু বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পণ্য আমদানি করতে চান তাকেও ব্যাংকের অনুমতির পর পণ্য আমদানির এলসি খুলতে হয়। এক্ষেত্রে শিল্পের মূল মেশিন আমদানি ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পণ্য আমদানির এলসি খোলার জন্য ব্যাংকের ডকুমেন্ট চাহিদার কিছু পার্থক্য থাকে। একজন নতুন উদ্যোক্তার শিল্পের জন্য মূল মেশিন আমদানি সংক্রান্ত এলসি খোলার জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্রাদি ব্যাংকে দাখিল করতে হয় ঃ


একঃ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্যাডে ব্যাংকের কাছে আবেদন পত্র।


দুইঃ এলসি আবেদনপত্র (LC Application Form) যা ব্যাংক হতে সংগ্রহপূর্বক আমদানিকারক কর্তৃক দস্তখত করতে হবে।


তিনঃ আমদানির অনুমতি (Letter of Credit Authorization- LCA ) ১ সেট যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহ করা হয় এবং আমদানিকারক কর্তৃক দস্তখত করতে হয়।


চারঃ চার্জ দলিলপত্র  -১ সেট যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহ করা হয়, আমদানিকারক কর্তৃক দস্তখত করতে হয়।


পাঁচঃ টাকার রসিদসহ ইন্স্যুরেন্স কভার নোট।


এছাড়া কোন আমদানিকারক যদি ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে পণ্যসামগ্রী আমদানি করতে চায় তাহলে উপরোক্ত দলিলপত্রাদিসহ রপ্তানি ঋণপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার মেশিন বা পণ্য রপ্তানিকারকের ক্রেডিট রিপোর্ট (Credit Report) ব্যাংক কর্তৃক সংগ্রহ করতে হবে।


 


এল সি পরীক্ষা করা (Examining the LC)


মেশিনের এলসি খোলার পর আপনাকে পরবর্তী কাজে লেগে থাকতে হবে। ব্যাংক যে এলসি আপনার বিক্রেতার নিকট পাঠিয়েছে বা পাঠাচ্ছে তা আপনাকে একবার পরীক্ষা করে দেখতে হবে। অর্থাৎ এলসিতে যে সকল বিষয় থাকা উচিত তা ঠিক মতো রয়েছে কিনা সে বিষয়টা পরখ করতে হবে। এলসিতে যে বিষয়গুলো দেখা দরকারঃ


এক ঃ ক্রেতার নাম, ঠিকানা ঠিক মতো লেখা হয়েছে কিনা।


দুই ঃ আপনার/আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ঠিক মতো আছে কিনা।


তিন ঃ প্রোফরমা চালান ( Proforma Invoice/indent) অনুযায়ী পণ্যের মূল্য।


চার ঃ রপ্তানির পূর্বে পরিদর্শন ( Inspection ) কে করবে তার নাম, ঠিকানা রয়েছে কিনা।


পাঁচ ঃ রপ্তানি কোন বন্দর থেকে হবে এবং কোন বন্দরে আসবে এ বিষয়ে দেখতে হবে।


ছয় ঃ প্যাকিং রপ্তানি মান ( Export Standard) অনুযায়ী হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে।


সাত ঃ পরিশোধ নিয়মাবলি (Payment Clause) স্থাপিত হয়েছে কিনা।


আট ঃ ক্রেতার ব্যাংকের নাম, ঠিকানা ও আপনার ব্যাংকের নাম, ঠিকানা ঠিক আছে কিনা।


নয় ঃ এলসি টেস্ট মেম্বার যথাযথভাবে উল্লেখ আছে।


দশ ঃ মেরিন ইন্সুরেন্স কভার নোট যথাযথ আছে কিনা।


এগারো ঃ বিল অব লেডিং ( BL) ক্লস যথাযথ আছে কিনা।


 


রপ্তানি, আমদানি ও মাল খালাস ( Export, Import and Unloading of Marchendise)


এলসি’র শর্ত অনুযায়ী রপ্তানিকারক তারিখ অনুযায়ী মালামাল রপ্তানি করবেন এবং এক সেট শিপিং ডকুমেন্ট ক্রেতা এবং এলসি ওপেনিং ব্যাংকে পাঠাবেন। আপনাকে উক্ত ডকুমেন্ট এলসি নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা করে দেখতে হবে। মূল ডকুমেন্ট ব্যাংক তার নির্দিষ্ট সি এন্ড এফ কে মালামাল খালাস করার জন্য দেবেন। যদি আপনার এলসি ব্যাংক অর্থায়নে না হয় তবে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো সিএন্ডএফ কে দিয়ে খালাস করতে পারবেন। সিএন্ডএফ ঠিক করার সময় অবশ্যই ঐ সিএন্ডএফ এর ভালো মন্দ জেনে তাকে মাল খালাস করতে মূল ডকুমেন্ট দেবেন। অন্যথায় নানা অসুবিধা (খারাপ সিএন্ডএফ হলে) সৃষ্টি হতে পারে।


 


এফ.ও.বি. মূল্য, সি.এফ.আর মূল্য এবং সি.আই.এফ. মূল্য (FOB, CFR, & CIF Price )


কাঁচামাল এবং শ্রম ব্যয়ের সাথে প্যাকিং, মার্কিং ও লেবেলিং ব্যয় যোগ করে কারখানাপ্রান্ত বা এক্স-ফ্যাক্টরী ব্যয় বের করা হয়। এক্স-ফ্যাক্টরী ব্যয়ের সাথে মূনাফা মার্জিন যোগ করলে এক্স-ফ্যাক্টরী মূল্য পাওয়া যায়। এক্স-ফ্যাক্টরী মূল্যের সাথে


আভ্যন্তরীন পরিবহন ব্যয় এবং ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট-এর কমিশন যোগ করে এফ.ও.বি. ( Free on Board) মূল্য বের করা হয়। এক্ষেত্রে বিক্রয় চুক্তিতে উল্লেখিত সামুদ্রিক বা বিমান বন্দরে জাহাজ বা বিমানে পণ্য তুলে দেয়া পর্যন্ত দায়িত্ব বিক্রেতার। জাহাজ বা বিমানে উত্তোলনের পর পণ্যের ক্ষতি বা বিনষ্টের ঝুঁকি বিক্রেতার পরিবর্তে ক্রেতার উপর বর্তায়। রপ্তানিকারক যদি সি.এফ.আর ( Cost & Freight ) ভিত্তিতে পণ্য বিক্রয়ে ইচ্ছুক হন, তাহলে তাকে এফ.ও.বি. মূল্যের সাথে জাহাজ ভাড়া যোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে পণ্যের গন্তব্য বন্দর পর্যন্ত পরিবহন ব্যয় এবং জাহাজ ভাড়া বিক্রেতাকে বহন করতে হয়। কিন্তু জাহাজে মাল উত্তোলনের পর পণ্যের বিনষ্ট বা ক্ষয়ক্ষতিজনিত ঝুঁকি বা অপ্রত্যাশিত কোন ব্যয়ভার বিক্রেতার পরিবর্তে ক্রেতার উপর বর্তায়। অনুমোদিত শিপিং কোম্পানি অথবা তাঁদের এজেন্ট-এর কাছ থেকে যে কোন লাইনের জাহাজের প্রকৃত ভাড়া হার সংগ্রহ করা যেতে পারে। রপ্তানিকারক যদি সি.আই.এফ. (Cost, Insurance & Freight ) শর্তে পণ্য বিক্রয় করতে চান, তাহলে তাকে পণ্যে ক্ষয়ক্ষতিজনিত ঝুঁকি আচ্ছাদনের নিমিত্তে সামুদ্রিক বীমা পলিসি গ্রহণ করতে হবে। উক্ত পলিসির আওতায় বীমা প্রিমিয়ামের হার ঝুঁকির পরিমানের উপর নির্ভর করে এবং তা পণ্য এবং গন্তব্যস্থল ভেদে কম বেশী হয়ে থাকে। সাধারনতঃ সি.এফ.আর মূল্যের উপর শতকরা ১ ভাগ হারে এই বীমা ব্যয় হিসেব করা হয়। সি.এফ.আর. মূলের সাথে বীমা ব্যয় যোগ করে সি.আই.এফ. মূল্য বের করা হয়।


 


আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ( Documents for Import)


আমদানির জন্য যে সকল ডকুমেন্ট সি এন্ড এফ কাস্টমস হাউসে দাখিল করবেন তা নিম্নরূপঃ


একঃ বিল অব এন্ট্রি ( Bill of entry)


দুইঃ   বিল অব লেডিং-এর কপি (Bill of Leading copy)


তিনঃ ইনভয়েস এর কপি


চারঃ প্যাকিং লিস্ট


পাঁচঃ সার্টিফিকেট অব অরিজিন (CO)


ছয়ঃ   ইউডি/ইউপি (UD/UP)


সাতঃ ভিবিএফ-৬ (VBF-6)


আটঃ বন্ড/স্ট্যাম্প ( Bond/Stramp) তৈরী পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য আমদানির ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের কম পণ্যের জন্য ১০০০ টাকা এবং ১০ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের পণ্যের জন্য ২০০০ টাকার স্ট্যাম্পসহ বন্ড দিতে হয়।


নয়ঃ   মাষ্টার এল সি এর কপি


দশঃ   লেটার অব ক্রেডিট অথরাইজেশন (LCA)


এগারোঃ প্রোফরমা ইনভয়েস (Proforma Invoice)


বারোঃ ইন্সুরেন্স কভার নোট এর কপি ( Insurance Cover Note Copy)


তেরঃ   রপ্তানিমূখী শিল্প না হলে পিএসআই সার্টিফিকেট।


 


ব্যাক টু ব্যাক এল সি (Back to back LC)


ব্যাক টু ব্যাক এলসি’র মাধ্যমে রপ্তানিকারক রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয়, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রস্তুতকরণ এবং প্যাকেজিং এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করে। ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজনঃ


একঃ এলসি খোলার আবেদন


দুইঃ এলসি আবেদন ফরম


তিনঃ ইনডেন্ট/ প্রোফর্মা ইনভয়েস


চারঃ এলসিএফ


পাঁচঃ আমদানি অনুমতি (আইএমপি ফরম)


ছয়ঃ ইন্সুরেন্স কাভার নোট


সাতঃ রপ্তানি এলসির মূল কপি


Back to back Letter of credit Back to back Letter of credit


সস্পূর্ণ লেখা নেয়া হয়েছে এখান থেকেঃ  ড. নূরুল কাদির ও অন্যান্য (২০০৯) এসএমই বিজনেস ম্যানুয়াল, ১ম এডিশন., ঢাকা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন



আমদানি পদ্ধতি

Tuesday, January 13, 2015

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা ও শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা ও শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা

রপ্তানি নীতি ২০১২-২০১৫ অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা


  1. সয়াবিন তেল, পাম অয়েল।

  2.     (ক)    প্রাকৃতিক গ্যাস উূৎভূত পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য (যথাঃ ন্যাপথা, ফারনেস অয়েল, লুব্রিক্যান্ট অয়েল, বিটুমিন, কনডেনসেট, এমটিটি ও এমএস) ব্যতিরেকে সকল পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য। তবে প্রডাকশন শেয়ারিং কণ্ট্রাক্ট-এর আওতায় বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চুক্তি মোতাবেক তাদের হিসাবের পেট্রোলিয়াম ও এলএনজি রপ্তানির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

    (খ)    রপ্তানি নিষিদ্ধ ও শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানিযোগ্য পণ্য ব্যতীত ব্যক্তিগত মালামালের অতিরিক্ত হিসেবে বাংলাদেশে তৈরী ২০০ (দুই শত) মার্কিন ডলার মূল্যমানের পণ্য কোন যাত্রী বিদেশে যাওয়ার সময় একোম্প্যানিড ব্যাগেজে সংগে নিতে পারবেন। এইরূপে বিদেশে নেয়া পণ্যের বিপরীতে শুল্ক কর প্রত্যর্পণ/ সমন্বয়, ভর্তুকী ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা প্রদানযোগ্য হবে না।

  3. পাটবীজ ও শনবীজ।

  4. গম।

  5. ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) অধ্যাদেশের (রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নং ২৩, ১৯৭৩ এবং ১৯৭৪ সালে (সংশোধিত) প্রথম তালিকায় বর্ণিত প্রজাতি ব্যতীত উক্ত অধ্যাদেশে উল্লিখিত সব রকমের জীবন্ত প্রাণী, এর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও বন্যপ্রাণীর চামড়া ।

  6. আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ।

  7. তেজস্ক্রিয় পদার্থ।

  8. পুরাতাত্ত্বিক দুর্লভ বস্তু।

  9. মনুষ্যকঙ্কাল, রক্তের প্লাজমা অথবা মনুষ্য অথবা মনুষ্য রক্ত দ্বারা উৎপাদিত অন্য কোন     সামগ্রী।

  10. সকল প্রকার ডাল (প্রক্রিয়াজাত ডাল ব্যতীত)।

  11. চিল্ড, হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাত ব্যতীত অন্যান্য চিংড়ি।

  12. পেঁয়াজ।

  13. হরিণা ও চাকাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রজাতীর PUD, Cooked চিংড়ি ছাড়া ৭১/৯০  Count  বা তার চেয়ে ছোট আকারের সামুদ্রিক চিংড়ি।

  14. বেত, কাঠ ও কাঠের গুড়ি/স্থূল কাষ্ঠ খন্ড (এই সব দ্বারা প্রস্তুতকৃত হস্তশিল্প সামগ্রী ব্যতীত)।

  15. সকল প্রজাতির ব্যাঙ (জীবিত অথবা মৃত) ও ব্যাঙের পা।

  16. কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া।


রপ্তানি নীতি ২০১২-২০১৫ অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা


  1. ইউরিয়া ফার্টিলাইজার – কাফকো ব্যতীত অন্যান্য ফ্যাক্টরীগুলিতে প্রস্তুতকৃত ইউরিয়া  ফার্টিলাইজার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমতির ভিত্তিতে রপ্তানি করা যাবে।

  2. বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, গান, নাটক, ছায়াছবি, প্রামাণ্য চিত্র ইত্যাদি অডিও ক্যাসেট, ভিডিও ক্যাসেট, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি ফর্মে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি  সাপেক্ষে রপ্তানি করা যাবে।

  3. প্রাকৃতিক গ্যাস উৎভূত পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য (যথাঃ- ন্যাপথা,  ফারনেস অয়েল, বিটুমিন, কনডেনসেট, এমটিটি ও এমএস) জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের

    অনাপত্তি সাপেক্ষে রপ্তানি করা যাবে। তবে কোন প্রকার শর্ত ব্যতিরেকে লুব্রিকেটিং ওয়েল রপ্তানি  করা যাবে এবং এ ক্ষেত্রে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে রপ্তানির পরিমান বিষয়ক তথ্য অবগত  করতে হবে।

  4. রাসায়নিক অস্ত্র (নিষিদ্ধকরণ) আইন, ২০০৬ এর তফসিল ১, ২ ও ৩ এ বর্ণিত রাসায়নিক  দ্রব্যাদি উক্ত আইনের ৯ ধারার বিধান মোতাবেক রপ্তানি নিষিদ্ধ বা রপ্তানিযোগ্য হবে।


বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা ও শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা