Wednesday, January 14, 2015

আমদানি পদ্ধতি

আমদানি পদ্ধতি

আলোচিত বিষয়



  1. ইমপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট (IRC)




  2. এল সির মাধ্যমে আমদানি: এল সি-এর ধরন নির্ধারন




  3. এল সি খোলার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন




  4. কোলেটারেল সিক্যুরিটি প্রদান ( Collateral Security )




  5. শিল্প কারখানার মূল মেশিন/ পণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি ( Necessary Documents for Imports of Machinaries )




  6. মূল যন্ত্রপাতি আমদানি ঋণপত্র খোলা (Opening the LC of Principle Machineries )




  7. এল সি পরীক্ষা করা (Examining the LC)




  8. রপ্তানি, আমদানি ও মাল খালাস ( Export, Import and Unloading of Marchendise)




  9. বিনিময় বিল (Bill of Exchange)




  10. এফ.ও.বি. মূল্য, সি.এফ.আর মূল্য এবং সি.আই.এফ. মূল্য (FOB, CFR, & CIF Price )




  11. আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ( Documents for Import)




  12. বিল অব লেডিং সংগ্রহ (Collection of Bill of Lading)




  13. ব্যাক টু ব্যাক এল সি (Back to back LC)



 


 


ইমপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট (IRC)


ইমপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট পেতে নিম্নলিখিত ধাপসমূহ অনুসরন করতে হয়ঃ


একঃ আমদানি ও রপ্তানির চীফ কন্ট্রোলারের অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করুন।


দুইঃ বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের শাখায় সিডিউল ফি জমা দিন।


তিনঃ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আবেদন জমা দিন।


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    ট্রেড লাইসেন্স


২.    পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩ কপি)


৩.    টিন নম্বর


৪.    চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ বা সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশন হতে মেম্বারশীপ সার্টিফিকেট


৫.    ট্রেজারী চালানের মূল কপি


৬.    পার্টনারশীপ বিজনেস হলে পার্টনারশীপ ডিড এর কপি


৭.    লিমিটেড কোম্পনির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, আর্টিক্যাল অব এসোসিয়েশন, মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন


 


Import Certificate


বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ


আমদানি ও রপ্তানির চীফ কন্ট্রোলারের অফিস


১১১-১১৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।


 


এল সির মাধ্যমে আমদানি: এল সি-এর ধরন নির্ধারন


প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন ধরনের এলসি আপনি খুলতে চান। বর্তমান নিয়ম অনুসারে তিন ধরনের আমাদানিকারকদের জন্য এলসির প্রচলন আছেঃ


এক ঃ বাণিজ্যভিত্তিক আমদানিকারক


দুই ঃ শিল্পভিত্তিক আমদানিকারক


তিন ঃ     WES (Wage Earner’s Scheme) এর আওতায় আমদানিকারক।


বর্তমানে নিম্নলিখিত ১২ প্রকার এলসির প্রচলন আছে ঃ


১.    Revocable LC


২.    Irrevocable LC


৩.    Confirmed LC


৪.    Transferable LC


৫.    Divisible LC


৬.    Revolving LC


৭.    Restricted LC


৮.   Red-clause LC


৯.    Green clause LC


১০.   Back to back LC


১১.   With Recourse LC


১২.   Without Recourse LC


 


এল সি খোলার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন


বাণিজ্যিক এলসি খুলতে ব্যাংক আপনাকে নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট দিবেঃ


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    এলসি আবেদন ফরম


২.    এলসিএ ফরম ( Letter of Credit Authorization Application Form)


৩.    আইএমপি ফরম


৪.    টিএম ফরম


৫.    চুক্তি ফরম


৬.    চার্জ ডকুমেন্ট


৭.    গ্যারান্টি ফরম


 


Cash/WES এলসি খোলার জন্য ডকুমেন্ট ঃ


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    এলসি খোলার আবেদন


২.    এলসি আবেদন ফরম


৩.    ইনডেন্ট/ প্রোফর্মা ইনভয়েস


৪.    লেটার অব ক্রেডিট অথরাইজেশন ফরম


৫.    ইমপোর্ট পারমিট


৬.    চার্জ ডকুমেন্ট


৭.    ইন্সুরেন্স কাভার নোট


আপনাকে উপরে উল্লিখিত ফরমসমূহ পূরন করতে হবে এবং সত্যতা যাচাই ও স্বাক্ষরের পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    ট্রেড লাইসেন্স


২.    আমদানি রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট


৩.    আয়কর বা টিন


৪.    ভ্যাট সার্টিফিকেট


৫.    মেম্বারশীপ সার্টিফিকেট


৬.    মেমোরেন্ডাম অব আর্টিক্যাল


৭.    রেজিষ্টারড ডিড (পার্টনারশীপ ফার্মের ক্ষেত্রে)


৮.   রেজুলেশন (পার্টনারশীপ ফার্মের ক্ষেত্রে)


৯.    ছবি


১০.   ইন্সুরেন্স কাভার নোট ও প্রিমিয়াম প্রদানের রশিদ


১১.   ইনডেন্ট/ প্রোফর্মা ইনভয়েসের কপি।


 


LC Flow Chart LC Flow Chart


কোলেটারেল সিক্যুরিটি প্রদান ( Collateral Security )


প্রজেক্ট লোনের আওতায় এলসি খুলতে ব্যাংকে কোলেটারেল সিক্যুরিটি প্রয়োজন হয়।


ইকুইটেবল মরগেজ দেওয়ার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট দিতে হয়ঃ


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    মেমোরেন্ডাম অব টাইটেল ডিড (সম্পত্তির মালিকের)


২.    পারসোনাল গ্যারান্টি (সম্পত্তির মালিক দেবেন)


৩.    সম্পত্তির মূল দলিল


৪.    মিউটেশন রেকর্ড


৫.    খাজনার রসিদ (হাল নাগাদ)


৬.    সি এস পরচা


৭.    এস এ পরচা


৮.   আর এস পরচা


৯.    নন ইনকামব্রেন্স সার্টিফিকেট (চার্জসহ)


১০.   ভ্যালুয়েশন সার্টিফিকেট


১১.   ল’ইয়ার সার্টিফিকেট


১২.   অ্যাফিডেভিট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক


১৩.   রেজিস্টার্ড ইরেভোকেবল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি


প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে আরও প্রয়োজন ঃ


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    বোর্ড এর রেজুলেশন (পরিচালকবৃন্দের)


২.    সকল পরিচালকের পারসোনাল গ্যারান্টি


৩.    মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশনের কপি


৪.    জয়েন্ট স্টক কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট


৫.    জয়েন্ট স্টক কোম্পানি কর্তৃক চার্জ ডকুমেন্ট


 


শিল্প কারখানার মূল মেশিন/ পণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি ( Necessary Documents for Imports of Machinaries )


আমদানিকৃত মেশিন/ পণ্য এবং আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদি কাস্টমস থেকে ছাড় করতে হলে নিম্নলিখিত দলিলপত্রাদি ব্যাংক অনুমোদিত সিএন্ডএফ -এর নিকট হস্তান্তর করতে হবেঃ


এক ঃ বাণিজ্যিক চালান ( Commercial Invoice  ), মোড়ক তালিকা ( Packing list), বিল অব লেডিং ( BL ) বা এয়ার ওয়ে বিল (AWB) বা ট্রাক রসিদ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক Endorsement  করতে হবে।


দুই ঃ   যদি বাণিজ্যিক চালান (   Commercial Invoice   ), মোড়ক তালিকা (Packing list), বিল অব লেডিং (BL) বা এয়ার ওয়ে বিল (AWB) বা ট্রাক রসিদ এর মূল কপি পাওয়া না যায় সে ক্ষেত্রে Copy Document Non-negotiable Document -এর সাথে  Indemnity Endorsement করতে হবে যা সংশ্লিষ্ট Shipping line থেকে সংগ্রহ করতে হবে।


তিন ঃ এলসি কর্তৃত্ত্বায়ন ( LCA) ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদন (Endorsement) করতে হবে।


চার ঃ প্রোফরমা চালান (Proforma Invoice/indent) আমদানি ঋণপত্র, রপ্তানি ঋণপত্র এবং বীমার ফটোকপি ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে।


পাঁচ ঃ Utilization Declaration (UD) যা বিজিএমইএ কর্তৃক ইস্যু করা হয়।


ছয় ঃ   জেনারেল বন্ড লাইসেন্স এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স লাগবে।


সাত ঃ শুল্ক দরখাস্ত ফরম ডক কাস্টমস হাউস হতে সংগ্রহ করে আমদানিকারককে দস্তখত করতে হবে।


মেশিনপত্রের কোন চালান কাস্টমস হতে ছাড়াতে হলে নিম্নের দলিলপত্রাদি সি এন্ড এফ এর কাছে হস্ত ান্তর করতে হবে।


উল্লিখিত দলিলপত্রাদি থেকে রপ্তানি ঋণপত্র, ইউডি, জেনারেল বন্ড লাইসেন্স ও বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স বাদ দিতে হবে এবং তদসঙ্গে নতুনভাবে নিম্নলিখিত কাগজপত্রাদি লাগবে


এক ঃ ৫০০ টাকার স্ট্যাম্পে দুইজন সাক্ষীসহ আমদানিকারকের অঙ্গীকারনামা


দুই ঃ মূল ক্যাটালগ


তিনঃ ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র। অর্থাৎ ব্যাংক এই মর্মে সার্টিফিকেট দেবে যে, আপনি ব্যাংকে সন্তোষজনকভাবে লেনদেন করছেন।


 


মূল যন্ত্রপাতি আমদানি ঋণপত্র খোলা (Opening the LC of Principle Machineries )


যখন কোন ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি কোন নতুন শিল্প ইউনিট স্থাপনের জন্য ব্যাপক ঋণের অনুমতি পান, তখন তিনি মূল প্রকল্পের জন্য মেশিন আমদানির এলসি খুলতে পারেন। যদি উক্ত ব্যবসায়ী শিল্প কারখানা স্থাপন না করে শুধু বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পণ্য আমদানি করতে চান তাকেও ব্যাংকের অনুমতির পর পণ্য আমদানির এলসি খুলতে হয়। এক্ষেত্রে শিল্পের মূল মেশিন আমদানি ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পণ্য আমদানির এলসি খোলার জন্য ব্যাংকের ডকুমেন্ট চাহিদার কিছু পার্থক্য থাকে। একজন নতুন উদ্যোক্তার শিল্পের জন্য মূল মেশিন আমদানি সংক্রান্ত এলসি খোলার জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্রাদি ব্যাংকে দাখিল করতে হয় ঃ


একঃ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্যাডে ব্যাংকের কাছে আবেদন পত্র।


দুইঃ এলসি আবেদনপত্র (LC Application Form) যা ব্যাংক হতে সংগ্রহপূর্বক আমদানিকারক কর্তৃক দস্তখত করতে হবে।


তিনঃ আমদানির অনুমতি (Letter of Credit Authorization- LCA ) ১ সেট যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহ করা হয় এবং আমদানিকারক কর্তৃক দস্তখত করতে হয়।


চারঃ চার্জ দলিলপত্র  -১ সেট যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহ করা হয়, আমদানিকারক কর্তৃক দস্তখত করতে হয়।


পাঁচঃ টাকার রসিদসহ ইন্স্যুরেন্স কভার নোট।


এছাড়া কোন আমদানিকারক যদি ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে পণ্যসামগ্রী আমদানি করতে চায় তাহলে উপরোক্ত দলিলপত্রাদিসহ রপ্তানি ঋণপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার মেশিন বা পণ্য রপ্তানিকারকের ক্রেডিট রিপোর্ট (Credit Report) ব্যাংক কর্তৃক সংগ্রহ করতে হবে।


 


এল সি পরীক্ষা করা (Examining the LC)


মেশিনের এলসি খোলার পর আপনাকে পরবর্তী কাজে লেগে থাকতে হবে। ব্যাংক যে এলসি আপনার বিক্রেতার নিকট পাঠিয়েছে বা পাঠাচ্ছে তা আপনাকে একবার পরীক্ষা করে দেখতে হবে। অর্থাৎ এলসিতে যে সকল বিষয় থাকা উচিত তা ঠিক মতো রয়েছে কিনা সে বিষয়টা পরখ করতে হবে। এলসিতে যে বিষয়গুলো দেখা দরকারঃ


এক ঃ ক্রেতার নাম, ঠিকানা ঠিক মতো লেখা হয়েছে কিনা।


দুই ঃ আপনার/আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ঠিক মতো আছে কিনা।


তিন ঃ প্রোফরমা চালান ( Proforma Invoice/indent) অনুযায়ী পণ্যের মূল্য।


চার ঃ রপ্তানির পূর্বে পরিদর্শন ( Inspection ) কে করবে তার নাম, ঠিকানা রয়েছে কিনা।


পাঁচ ঃ রপ্তানি কোন বন্দর থেকে হবে এবং কোন বন্দরে আসবে এ বিষয়ে দেখতে হবে।


ছয় ঃ প্যাকিং রপ্তানি মান ( Export Standard) অনুযায়ী হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে।


সাত ঃ পরিশোধ নিয়মাবলি (Payment Clause) স্থাপিত হয়েছে কিনা।


আট ঃ ক্রেতার ব্যাংকের নাম, ঠিকানা ও আপনার ব্যাংকের নাম, ঠিকানা ঠিক আছে কিনা।


নয় ঃ এলসি টেস্ট মেম্বার যথাযথভাবে উল্লেখ আছে।


দশ ঃ মেরিন ইন্সুরেন্স কভার নোট যথাযথ আছে কিনা।


এগারো ঃ বিল অব লেডিং ( BL) ক্লস যথাযথ আছে কিনা।


 


রপ্তানি, আমদানি ও মাল খালাস ( Export, Import and Unloading of Marchendise)


এলসি’র শর্ত অনুযায়ী রপ্তানিকারক তারিখ অনুযায়ী মালামাল রপ্তানি করবেন এবং এক সেট শিপিং ডকুমেন্ট ক্রেতা এবং এলসি ওপেনিং ব্যাংকে পাঠাবেন। আপনাকে উক্ত ডকুমেন্ট এলসি নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা করে দেখতে হবে। মূল ডকুমেন্ট ব্যাংক তার নির্দিষ্ট সি এন্ড এফ কে মালামাল খালাস করার জন্য দেবেন। যদি আপনার এলসি ব্যাংক অর্থায়নে না হয় তবে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো সিএন্ডএফ কে দিয়ে খালাস করতে পারবেন। সিএন্ডএফ ঠিক করার সময় অবশ্যই ঐ সিএন্ডএফ এর ভালো মন্দ জেনে তাকে মাল খালাস করতে মূল ডকুমেন্ট দেবেন। অন্যথায় নানা অসুবিধা (খারাপ সিএন্ডএফ হলে) সৃষ্টি হতে পারে।


 


এফ.ও.বি. মূল্য, সি.এফ.আর মূল্য এবং সি.আই.এফ. মূল্য (FOB, CFR, & CIF Price )


কাঁচামাল এবং শ্রম ব্যয়ের সাথে প্যাকিং, মার্কিং ও লেবেলিং ব্যয় যোগ করে কারখানাপ্রান্ত বা এক্স-ফ্যাক্টরী ব্যয় বের করা হয়। এক্স-ফ্যাক্টরী ব্যয়ের সাথে মূনাফা মার্জিন যোগ করলে এক্স-ফ্যাক্টরী মূল্য পাওয়া যায়। এক্স-ফ্যাক্টরী মূল্যের সাথে


আভ্যন্তরীন পরিবহন ব্যয় এবং ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট-এর কমিশন যোগ করে এফ.ও.বি. ( Free on Board) মূল্য বের করা হয়। এক্ষেত্রে বিক্রয় চুক্তিতে উল্লেখিত সামুদ্রিক বা বিমান বন্দরে জাহাজ বা বিমানে পণ্য তুলে দেয়া পর্যন্ত দায়িত্ব বিক্রেতার। জাহাজ বা বিমানে উত্তোলনের পর পণ্যের ক্ষতি বা বিনষ্টের ঝুঁকি বিক্রেতার পরিবর্তে ক্রেতার উপর বর্তায়। রপ্তানিকারক যদি সি.এফ.আর ( Cost & Freight ) ভিত্তিতে পণ্য বিক্রয়ে ইচ্ছুক হন, তাহলে তাকে এফ.ও.বি. মূল্যের সাথে জাহাজ ভাড়া যোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে পণ্যের গন্তব্য বন্দর পর্যন্ত পরিবহন ব্যয় এবং জাহাজ ভাড়া বিক্রেতাকে বহন করতে হয়। কিন্তু জাহাজে মাল উত্তোলনের পর পণ্যের বিনষ্ট বা ক্ষয়ক্ষতিজনিত ঝুঁকি বা অপ্রত্যাশিত কোন ব্যয়ভার বিক্রেতার পরিবর্তে ক্রেতার উপর বর্তায়। অনুমোদিত শিপিং কোম্পানি অথবা তাঁদের এজেন্ট-এর কাছ থেকে যে কোন লাইনের জাহাজের প্রকৃত ভাড়া হার সংগ্রহ করা যেতে পারে। রপ্তানিকারক যদি সি.আই.এফ. (Cost, Insurance & Freight ) শর্তে পণ্য বিক্রয় করতে চান, তাহলে তাকে পণ্যে ক্ষয়ক্ষতিজনিত ঝুঁকি আচ্ছাদনের নিমিত্তে সামুদ্রিক বীমা পলিসি গ্রহণ করতে হবে। উক্ত পলিসির আওতায় বীমা প্রিমিয়ামের হার ঝুঁকির পরিমানের উপর নির্ভর করে এবং তা পণ্য এবং গন্তব্যস্থল ভেদে কম বেশী হয়ে থাকে। সাধারনতঃ সি.এফ.আর মূল্যের উপর শতকরা ১ ভাগ হারে এই বীমা ব্যয় হিসেব করা হয়। সি.এফ.আর. মূলের সাথে বীমা ব্যয় যোগ করে সি.আই.এফ. মূল্য বের করা হয়।


 


আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ( Documents for Import)


আমদানির জন্য যে সকল ডকুমেন্ট সি এন্ড এফ কাস্টমস হাউসে দাখিল করবেন তা নিম্নরূপঃ


একঃ বিল অব এন্ট্রি ( Bill of entry)


দুইঃ   বিল অব লেডিং-এর কপি (Bill of Leading copy)


তিনঃ ইনভয়েস এর কপি


চারঃ প্যাকিং লিস্ট


পাঁচঃ সার্টিফিকেট অব অরিজিন (CO)


ছয়ঃ   ইউডি/ইউপি (UD/UP)


সাতঃ ভিবিএফ-৬ (VBF-6)


আটঃ বন্ড/স্ট্যাম্প ( Bond/Stramp) তৈরী পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য আমদানির ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের কম পণ্যের জন্য ১০০০ টাকা এবং ১০ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের পণ্যের জন্য ২০০০ টাকার স্ট্যাম্পসহ বন্ড দিতে হয়।


নয়ঃ   মাষ্টার এল সি এর কপি


দশঃ   লেটার অব ক্রেডিট অথরাইজেশন (LCA)


এগারোঃ প্রোফরমা ইনভয়েস (Proforma Invoice)


বারোঃ ইন্সুরেন্স কভার নোট এর কপি ( Insurance Cover Note Copy)


তেরঃ   রপ্তানিমূখী শিল্প না হলে পিএসআই সার্টিফিকেট।


 


ব্যাক টু ব্যাক এল সি (Back to back LC)


ব্যাক টু ব্যাক এলসি’র মাধ্যমে রপ্তানিকারক রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয়, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রস্তুতকরণ এবং প্যাকেজিং এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করে। ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজনঃ


একঃ এলসি খোলার আবেদন


দুইঃ এলসি আবেদন ফরম


তিনঃ ইনডেন্ট/ প্রোফর্মা ইনভয়েস


চারঃ এলসিএফ


পাঁচঃ আমদানি অনুমতি (আইএমপি ফরম)


ছয়ঃ ইন্সুরেন্স কাভার নোট


সাতঃ রপ্তানি এলসির মূল কপি


Back to back Letter of credit Back to back Letter of credit


সস্পূর্ণ লেখা নেয়া হয়েছে এখান থেকেঃ  ড. নূরুল কাদির ও অন্যান্য (২০০৯) এসএমই বিজনেস ম্যানুয়াল, ১ম এডিশন., ঢাকা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন



আমদানি পদ্ধতি

1 comment: