Wednesday, January 14, 2015

রপ্তানি পদ্ধতি

রপ্তানি পদ্ধতি

আলোচিত বিষয়ঃ



  1. এক্সপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ERC)




  2. বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স গ্রহণ ( License from bonded warehouse)




  3. কোলেটারেল সিক্যুরিটি প্রদান ( Collateral Security )




  4. রপ্তানি, আমদানি ও মাল খালাস ( Export, Import and Unloading of Marchendise)




  5. রপ্তানি ডকুমেন্টস তৈরি (Preparation of Export Document)




  6. উৎপাদন সমাপন ( Production Completed)




  7. ক্রেতার পরিদর্শন ( Buyer’s Inspection)




  8. রপ্তানি আনুষ্ঠানিকতা (Pre-shipment Formalities)




  9. রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক ছাড়পত্র বা ক্লিয়ারেন্স




  10. প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (PSI) পদ্ধতি




  11. প্রি-শিপমেন্ট ডকুমেন্ট (Commercial Invoice)




  12. কমার্শিয়াল ইনভয়েস ( Commercial Invoice)




  13. প্যাকিং লিষ্ট (Packing List)




  14. বিনিময় বিল (Bill of Exchange)




  15. এফ.ও.বি. মূল্য, সি.এফ.আর মূল্য এবং সি.আই.এফ. মূল্য (FOB, CFR, & CIF Price )




  16. রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ( Documents for Exports)




  17. বিল অব লেডিং সংগ্রহ (Collection of Bill of Lading)




  18. ভিসা সংগ্রহ (Procuring VISA)




  19. রপ্তানি লাইসেন্স সংগ্রহ (Export License Issue)




  20. সার্টিফিকেট অব অরিজিন সংগ্রহ (Certificate of Origin)




  21. ইন্সপেকশন সার্টিফিকেট (Inspection Certificate)




  22. রপ্তানি কাগজপত্র প্রস্তুতকরণ (Export Document Preparation)




  23. রপ্তানি ডকুমেন্টস নেগোশিয়েশন (Export Document Negotiation)




  24. ডকুমেন্টস সংগ্রহ (Collection of Document)




  25. রপ্তানি বিল আদায় ( Collection of Export Bill )




  26. ব্যাক টু ব্যাক এল সি (Back to back LC)




  27. ক্যাশ বেনিফিট ( Cash Benefit)




  28. রপ্তানিকারক হিসেবে আপনি কী কী বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন



 


এক্সপোর্ট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ERC)


Export Registration Certificate Export Registration Certificate


এক্সপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ERC) পেতে নিম্নলিখিত ধাপসমূহ অনুসরন করতে হয় ঃ


এক ঃ আমদানি ও রপ্তানির চীফ কন্ট্রোলারের অফিস থেকে ইআরসি ফরম সংগ্রহ করুন ।


দুই ঃ বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের শাখায় সিডিউল ফি জমা দিন।


তিন ঃ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আবেদন ফরম জমা দিন।


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    আবেদনকারীর সত্যায়িত ছবি


২.    ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি


৩.    স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি বা সংশ্লিষ্ট ট্রেড এসোসিয়েশন এর মেম্বারশীপ   সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি


৪.    ট্রেজারী চালানের মূল কপি


৫.    পার্টনারশীপ বিজনেসের ক্ষেত্রে পার্টনারশীপ ডিড (সত্যায়িত কপি)


৬.    লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে


– সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন


– আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশন


– মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন


ফিঃ সিডিউল ফি ৩,০০০.০০ টাকা, নবায়ন ২,০০০.০০ টাকা।


বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ


আমদানি ও রপ্তানির চীফ কন্ট্রোলারের অফিস


১১১-১১৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।


 


বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স গ্রহণ ( License from bonded warehouse)


একশত ভাগ রপ্তানিমুখী হলে আপনি শুল্ক বিভাগ হতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স সুবিধা নিয়ে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি করে খরচ কমাতে পারেন। অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে পণ্য ১০০ ভাগ রপ্তানি করতে হবে। নতুবা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি না করে আপনি শুল্ক, কর ইত্যাদি প্রদান করে কাঁচামাল আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে পণ্য উৎপাদন করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। রপ্তানির পর আপনি ডিউটি ড্রব্যাক বা বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ক্যাশ বেনিফিট পেতে পারেন। ডিউটি ড্র ব্যাক DEDO অফিস থেকে নিয়ম অনুযায়ী দাবি করতে হবে। আর ক্যাশ বেনিফিট ২৫ শতাংশ আপনার ব্যাংক -এর মাধ্যমে আবেদন করে সংগ্রহ করতে হবে।


শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট হতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স -এর আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় দলিলাদি পেশ করতে হবে।


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র


২.    ১০০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তিন কোটি টাকার বন্ড


৩.    ট্রেড লাইসেন্স


৪.    আমদানি নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্র (আইআরসি) শিল্পখাতভূক্ত


৫.    রপ্তানি নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্র (ইআরসি)


৬.    লিমিটেড কোম্পানি হলে মেমোরেন্ডাম ও আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশন এবং সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন


৭.    টিআইএন (টিন)


৮.   ভ্যাট নিবন্ধনপত্র


৯.    ব্যাংক সচ্ছলতার সনদপত্র


১০.   বিজিএমইএ/বিএনটিএমইএ/বিসিসিএমএ/বিটিএমএ বা সংশ্লিষ্ট সমিতি -এর সদস্য সনদপত্র


১১.   বাড়ি ভাড়ার চুক্তি অথবা মালিকানার দলিল


১২.   পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তিপত্র


১৩.   পিডিবি -এর ছাড়পত্র


১৪.   বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃক নিবন্ধনপত্র


১৫.   বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স জারির জন্য বিনিয়োগ বোর্ডের সুপারিশপত্র


১৬.   লাইসেন্স ফি ১০০০ টাকার ট্রেজারি চালান


১৭.   জাতীয়তার সনদপত্র


১৮.   পরিচালকবৃন্দ/মালিকের পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি।


১৯.   মেশিনারিজ আমদানির দলিলাদি


২০.   কারখানার নীল-নকশা ২ সেট


২১.   ফায়ার সার্ভিসের সনদপত্র


২২.   ১০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ঘোষণাপত্র।


ইদানিং বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, শুল্ক ও আবগারি বিভাগের ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন,


ফায়ার বিভাগ থেকে লাইসেন্স, আমদানি-রপ্তানি অধিদপ্তর থেকে ERC, IRC সংগ্রহ করতে হয়।


 


বিস্তারিত তথ্যের জন্য ঃ


কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট


৩৪২/১ সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০


ওয়েব ঃ http://www.nbr-bd.org/


 


রপ্তানি, আমদানি ও মাল খালাস ( Export, Import and Unloading of Marchendise)


এলসি’র শর্ত অনুযায়ী রপ্তানিকারক তারিখ অনুযায়ী মালামাল রপ্তানি করবেন এবং এক সেট শিপিং ডকুমেন্ট ক্রেতা এবং এলসি ওপেনিং ব্যাংকে পাঠাবেন। আপনাকে উক্ত ডকুমেন্ট এলসি নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা করে দেখতে হবে। মূল ডকুমেন্ট ব্যাংক তার নির্দিষ্ট সি এন্ড এফ কে মালামাল খালাস করার জন্য দেবেন। যদি আপনার এলসি ব্যাংক অর্থায়নে না হয় তবে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো সিএন্ডএফ কে দিয়ে খালাস করতে পারবেন। সিএন্ডএফ ঠিক করার সময় অবশ্যই ঐ সিএন্ডএফ এর ভালো মন্দ জেনে তাকে মাল খালাস করতে মূল ডকুমেন্ট দেবেন। অন্যথায় নানা অসুবিধা (খারাপ সিএন্ডএফ হলে) সৃষ্টি হতে পারে।


 


রপ্তানি ডকুমেন্টস তৈরি (Preparation of Export Document)


পণ্যের ডেলিভারী সম্পন্ন করার পর আপনি রপ্তানি ডকুমেন্ট তৈরীর ব্যাপারে রপ্তানি শাখাকে নির্দেশ দেবেন। রপ্তানি পদ্ধতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আপনাকে একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট  (Clearing and Forwarding Agent) নিয়োগ করতে হতে পারে। স্থাণীয় বাজারে পণ্য ডেলিভারীর ক্ষেত্রে সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রয়োজন হবে না। এই ক্ষেত্রে ক্রেতার কাছ থেকে আপনাকে ডেলিভারী চালানসহ পেমেন্ট গ্রহন করতে হবে। বিদেশে আপনার পণ্য শিপিং এর ক্ষেত্রে প্রি-শিপমেন্ট ডকুমেন্ট তৈরী করে তা সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কাছে হস্তান্তর করতে হবে।



উৎপাদন সমাপন ( Production Completed)


যে কোন রপ্তানিমুখী শিল্পে মূল উৎপাদন কাজ শেষ হওয়ার পর পণ্য সামগ্রী ফিনিশিং বিভাগে যাবে। ফিনিশিং বিভাগে যাওয়ার পূর্বে মান নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শন সম্পন্ন করবে। তারপর ফিনিশিং বিভাগ পণ্য সামগ্রীকে রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী কার্টুনজাত করবে।


 


ক্রেতার পরিদর্শন ( Buyer’s Inspection)


ফিনিশিং বিভাগের কাজ শেষ হওয়ার পর এল সি শর্ত অনুযায়ী মূল ক্রেতার পরিদর্শন এজেন্সি কর্তৃক পরিদর্শন করাতে হবে। ক্রেতার প্রতিনিধি পণ্য পরিদর্শন করবেন। কোয়ালিটি ইন্সপেকশন ঠিক মতো হওয়ার পরই পণ্য রপ্তানির অনুমতি পাবে। কোন কারনে পরিদর্শন পরীক্ষায় পাস করতে না পারলে আপনার পণ্য রপ্তানি করা মুশকিল হয়ে পড়বে। তাই গুণসম্পন্ন পণ্য তৈরি করার বিষয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ।


 


রপ্তানি আনুষ্ঠানিকতা (Pre-shipment Formalities)


পরিদর্শন কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধা করার পর আপনার তৈরি পণ্য এল সি শর্ত অনুযায়ী মূল ক্রেতার নিকট রপ্তানি করতে হবে। এজন্য যে যে কাজ করতে হবে তা হচ্ছে-


একঃ আপনার ব্যাংক কর্তৃক রপ্তানি অনুমতিপত্র পাশ করিয়ে নিতে হবে।


দুইঃ কমার্শিয়াল ইনভয়েস ও প্যাকিং লিষ্ট আপনার বাণিজ্যিক বিভাগ রপ্তানি শর্ত অনুযায়ী তৈরি করে নেবে।


 


রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক ছাড়পত্র বা ক্লিয়ারেন্স


যদি আপনি একজন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক এবং কোটা ক্যাটাগরির পণ্য রপ্তানিকারক হন তবে আপনাকে রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো বরাদ্দপত্রের বিপরীতে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। সাধারণত কোটা বৎসর ১ ফেব্র“য়ারী থেকে ৩১ জানুযারী পর্যন্ত হয়ে থাকে।


ইপিবি (EPB) থেকে কোটা ক্লিয়ারেন্স লাভ করতে হলে নিম্নে উল্লিখিত ডকুমেন্টসমূহ জমা দিতে হবেঃ


একঃ মূল এল সি-এর ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত কপি।


দুইঃ কোটা বরাদ্দপত্রের ফটোকপি।


তিনঃ যথাযথভাবে পূরণকৃত ক্লিয়ারেন্স ফরম।


 


প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (PSI) পদ্ধতি


একঃ প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) পদ্ধতি কি এবং কেন? আমদানি পণ্য খালাসে অধিকতর গতিশীলতা আনয়ন ও সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পণ্য জাহাজীকরণের পূর্বে সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত পিএসআই এজেন্ট কর্তৃক পণ্য পরিদর্শনের ব্যবস্থাই হলো পিএসআই পদ্ধতি এবং পণ্য বর্ণনা, শ্রেণীবিন্যাস ও মূল্য প্রত্যায়ন করা পিএসআই এজেন্টের দায়িত্ব।


দুইঃ কোন কোন পণ্যে পিএসআই বাধ্যতামূলকঃ এসআরও নং-১৬২-আইন/ ২০০০/১৮৪৩/শুল্ক তাং ০৮/০৬/২০০০- এ উল্লেখিত সকল পণ্যের ক্ষেত্রে পিএসআই বাধ্যতামূলক।


তিনঃ পিএসআই এজেন্টঃ ৩টি ব্লকএ ৩টি পিএসআই এজেন্ট সরকার নিয়োগ করেছে।


চারঃ   এল সি খোলার সময় অবশ্যই এলাকা অনুযায়ী নিযুক্ত পরিদর্শন সংস্থার নাম উল্লেখ করতে হবে।


পাঁচঃ পিএসআই পদ্ধতি পণ্য আমদানিতে আমাদানিকারককে এসসি খোলার সময় পণ্যের বর্ণনা, শ্রেণীবিন্যাস/ এইচএস কোড ও মূল্য অবশ্যই যথাযথ কিনা সে বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং পিএসআই এজেন্ট পণ্য পরিদর্শনের পর ইস্যুকৃত সিআরএফ (Clean Report of Findings ) বর্ণিত তথ্যাদির সাথে এলসি ও প্রোফরমা ইনভয়েস/ইনডেন্ট -এর সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে।


ছয়ঃ সিআরএফ ( CRF) -এ অসংগতি থাকলে উৎস হতে CRF সংশোধনী শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট মূল/ফ্যাক্স/ইমেইলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।


সাতঃ   বিরোধ নিস্পত্তিঃ CRF  সংশোধনী  PSI এজেন্ট অসম্মতি প্রদান করলে পণ্য খালাসের পর তিন স্তরে পর্যায়ক্রমে বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য আমদানিকারক উদ্যোগ নিতে পারবে এসআরও নং-১৬৩-আইন/২০০০/১৮৪৪/শুল্ক তাং-০৮-০৬-২০০০ অনুযায়ী।


আটঃ কোনো প্রত্যয়নপত্র, পিএসআই আদেশের সাথে অসংগতিপূর্ণ হলে বাণিজ্যিক আমদানিকারক ব্যাংক গ্যারান্টি এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান অঙ্গীকারণামার ভিত্তিতে চালানটি খালাস করে নিতে পারবেন।


নয়ঃ পরিদর্শন সংস্থা আমদানি নিষিদ্ধ কোনো পণ্যের CRF প্রদান করতে এবং আমদানিকারক বা রপ্তানিককারকের সাথে রাজস্ব ফাঁকির উদ্দেশ্যে কোন প্রকার যোগসাজশ করলে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমাদানিকারকও দন্ডিত হবে।


দশঃ  CRF এ উল্লেখিত পণ্য কায়িক পরীক্ষায় ৫% এর অধিক বা পণ্যের বর্ণনা, গুণগতমান ও শ্রেণীবিন্যাস অসংগতিপূর্ণ হলে পরিদর্শন সংস্থা সম্ভাব্য রাজস্ব ক্ষতির দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদন্ডে দণ্ডিত হবে।


এগারোঃ প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশনের পর কিন্তু সিআরএফ ইস্যুর পূর্বে ঋণপত্র বাতিল হলে এলসি ওপেনিং ব্যাংক ও পিএসআই এজেন্টের প্রাপ্য ফি/ সার্ভিস চার্জ প্রদানে বাধ্য থাকবে।


 


প্রি-শিপমেন্ট ডকুমেন্ট (Commercial Invoice)


মূল ক্রেতার নিকট থেকে রপ্তানি অর্ডার লাভের পর আপনার পণ্য রপ্তানির জন্য রপ্তানি ডকুমেন্ট আপনার মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট- এর নিকট হস্তান্তর করতে হবে। এই ডকুমেন্ট দেয়ার সময় নিম্নে উল্লিখিত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবেঃ


এক ঃ কমার্শিয়াল ইনভয়েস (Commercial Invoice)- এর মূলকপি


দুই ঃ মূল প্যাকিং লিষ্ট


তিন ঃ মূল এলসি-এর (Export LC) ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি


চার ঃ মূল কোটা ক্লিয়ারেন্স কপি (তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে)


পাঁচ ঃ ইউপি (UP)  বা ইউডি (UD)  মূলকপি (যদি আপনার পণ্য তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য হয়)


ছয় ঃ রপ্তানি অনুমতিপত্রের (Export Permisson) ব্যাংক সত্যায়িত কপি


সাত ঃ ব্যাংক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ডকুমেন্টের কপি


আট ঃ সিএন্ডএফ কর্তৃক পূরণকৃত শিপিং বিল ( Shipping Bill )


 


কমার্শিয়াল ইনভয়েস ( Commercial Invoice)


এই দলিল রপ্তানিকারক নিজেই প্রণয়ন করেন এবং এতে পণ্যের বিবরন, মূল্য, পরিমান, গুনগত মান, শিপিং চিহ্ন, প্যাকেজ সংখ্যা, ক্রেতার নাম, ঋণপত্র এবং বিক্রয় নম্বর, পণ্যের গ্রেড, আয়তন, জাহাজের নাম, জাহাজজাতকরনের তারিখ, বিল অব লেডিং সংখ্যা প্রভৃতি তথ্য অন্তর্ভূক্ত থাকে। ইনভয়েস ঋণপত্রে উল্লেখিত ক্রেতার বরাররে রপ্তানিকারক তার প্রতিষ্ঠানের লেটার হেডে প্রণয়ন করবে এবং ইনভয়েসের মূল্য, পরিমান ইত্যাদির বিবরন ঋণপত্রের বিবরনের সাথে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।


 


প্যাকিং লিষ্ট (Packing List)


এই দলিলে কন্টেইনার ও বেল সংখ্যা, প্যাকেজ সংখ্যা, মোট ও নীট ওজন, শিপিং চিহ্ন ও নম্বর প্রভৃতি বিবরন অন্তর্ভূক্ত থাকে, যাতে করে ক্রেতা এবং শিপিং কোম্পানির পক্ষে রপ্তানি চালান খুঁজে পাওয়া এবং খালাস করা সহজসাধ্য হয়। প্যাকেজিং সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন এখানে


 


বিনিময় বিল (Bill of Exchange)


বিনিময় বিল সাধারনতঃ দুই অথবা তিন প্রস্থে রপ্তানীকারক কর্তৃক প্রণীত হয়। এটি প্রকৃত পক্ষে দেখিবামাত্র অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ান্তে বিলে উল্লেখিত মূল্য প্রদানের জন্য ক্রেতার উপর প্রদত্ত বিক্রেতার একটি আদেশনামা। এতে ঋণপত্রের নম্বর, তারিখ এবং ঋণপত্র প্রদানকারী ব্যাংকের নাম উল্লেখ থাকে। ঋণপত্রের শর্তানুযায়ী বিনিময় বিল ওপেনিং ব্যাংক অথবা এর যেকোন শাখা অথবা করেসপন্ডেন্ট ব্যাংক অথবা ক্রেতার উপর ড্র করা যেতে পারে।


শর্তভেদে বিনিময় বিল দেখিবামাত্র সি.এ.ডি. ( Cash Against Delivery ) অথবা নির্দিষ্ট সময়ান্তে প্রদেয় হতে পারে। বাংলাদেশে প্রচলিত বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ বিধি অনুযায়ী পণ্য জাহাজীকরনের তারিখ থেকে চার মাসের মধ্যে বিক্রয়লব্ধ আয় দেশে আনয়ন করতে হয়। এজন্য বিনিময় বিলের তারিখ কোন অবস্থাতেই উপস্থাপনের সময় থেকে ১২০ দিনের অধিক হতে পারে না। বিলে বর্নিত মূল্য অবশ্যই ইনভয়েস মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।


 


এফ.ও.বি. মূল্য, সি.এফ.আর মূল্য এবং সি.আই.এফ. মূল্য (FOB, CFR, & CIF Price )


কাঁচামাল এবং শ্রম ব্যয়ের সাথে প্যাকিং, মার্কিং ও লেবেলিং ব্যয় যোগ করে কারখানাপ্রান্ত বা এক্স-ফ্যাক্টরী ব্যয় বের করা হয়। এক্স-ফ্যাক্টরী ব্যয়ের সাথে মূনাফা মার্জিন যোগ করলে এক্স-ফ্যাক্টরী মূল্য পাওয়া যায়। এক্স-ফ্যাক্টরী মূল্যের সাথে


আভ্যন্তরীন পরিবহন ব্যয় এবং ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট-এর কমিশন যোগ করে এফ.ও.বি. ( Free on Board) মূল্য বের করা হয়। এক্ষেত্রে বিক্রয় চুক্তিতে উল্লেখিত সামুদ্রিক বা বিমান বন্দরে জাহাজ বা বিমানে পণ্য তুলে দেয়া পর্যন্ত দায়িত্ব বিক্রেতার। জাহাজ বা বিমানে উত্তোলনের পর পণ্যের ক্ষতি বা বিনষ্টের ঝুঁকি বিক্রেতার পরিবর্তে ক্রেতার উপর বর্তায়। রপ্তানিকারক যদি সি.এফ.আর ( Cost & Freight ) ভিত্তিতে পণ্য বিক্রয়ে ইচ্ছুক হন, তাহলে তাকে এফ.ও.বি. মূল্যের সাথে জাহাজ ভাড়া যোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে পণ্যের গন্তব্য বন্দর পর্যন্ত পরিবহন ব্যয় এবং জাহাজ ভাড়া বিক্রেতাকে বহন করতে হয়। কিন্তু জাহাজে মাল উত্তোলনের পর পণ্যের বিনষ্ট বা ক্ষয়ক্ষতিজনিত ঝুঁকি বা অপ্রত্যাশিত কোন ব্যয়ভার বিক্রেতার পরিবর্তে ক্রেতার উপর বর্তায়। অনুমোদিত শিপিং কোম্পানি অথবা তাঁদের এজেন্ট-এর কাছ থেকে যে কোন লাইনের জাহাজের প্রকৃত ভাড়া হার সংগ্রহ করা যেতে পারে। রপ্তানিকারক যদি সি.আই.এফ. (Cost, Insurance & Freight ) শর্তে পণ্য বিক্রয় করতে চান, তাহলে তাকে পণ্যে ক্ষয়ক্ষতিজনিত ঝুঁকি আচ্ছাদনের নিমিত্তে সামুদ্রিক বীমা পলিসি গ্রহণ করতে হবে। উক্ত পলিসির আওতায় বীমা প্রিমিয়ামের হার ঝুঁকির পরিমানের উপর নির্ভর করে এবং তা পণ্য এবং গন্তব্যস্থল ভেদে কম বেশী হয়ে থাকে। সাধারনতঃ সি.এফ.আর মূল্যের উপর শতকরা ১ ভাগ হারে এই বীমা ব্যয় হিসেব করা হয়। সি.এফ.আর. মূলের সাথে বীমা ব্যয় যোগ করে সি.আই.এফ. মূল্য বের করা হয়।


 


রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ( Documents for Exports)


রপ্তানির জন্য সি এন্ড এফ -এ নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো জমা দিয়ে কাজ শুরু করতে হবেঃ


একঃ শিপিং বিল অব এন্ট্রি ( Shipping Bill of Entry)


দুইঃ   রপ্তানি ঋণপত্র ( Export LC)


তিনঃ কমার্শিয়াল ইনভয়েস ( Commercial Invoice)


চারঃ   প্যাকিং লিস্ট ( Packing List)


পাঁচঃ   ইউডি/ইউপি ( UD/UP)


ছয়ঃ   ভিবিএফ-৯ এ ( VBF-9) [রপ্তানি পণ্য ঘোষণার জন্য শুল্ক কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফরম। সিএন্ডএফ এজেন্ট এই ছাপানো ফরম সরবরাহ করে থাকে।]


সাতঃ ই.এক্স.পি ফরম ( Export Permission Form) [রপ্তানিকারকের ব্যাংক সরবরাহ করে থাকে]


 


বিল অব লেডিং সংগ্রহ (Collection of Bill of Lading)


সি এন্ড এফ কাস্টমস ও বন্দরের প্রয়োজনীয় কার্যাদি সমাধা করে আপনার পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট শিপিং লাইনের জাহাজে পণ্য উঠিয়ে দেবে এবং শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পাশকৃত ডকুমেন্ট আপনাকে হস্তান্তর করবে। শিপিং কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় জাহাজের ভাড়া প্রদান করে আপনাকে বিল অব লেডিং সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে শিপিং আনুষঙ্গিক চার্জসমূহ শিপিং কোম্পানিকে নগদ প্রদান করতে হবে।


 


ভিসা সংগ্রহ (Procuring VISA)


এক্ষেত্রে আপনার রপ্তানি পণ্য যদি পোশাক শিল্প হয় তবে মূল বিল অব লেডিং সংগ্রহ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইসিভুক্ত দেশ হলে ইপিবি (EPB) থেকে নিম্নে উল্লিখিত ডকুমেন্ট দিয়ে ভিসা (VISA ) সংগ্রহ করতে হবেঃ


এক ঃ শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত কিপিং বিল এর মূল কপি এবং অতিরিক্ত এক কপি।


দুই ঃ নন নেগোশিয়েবল বিএল ( BL ) শিপিং কোম্পানি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে।


তিন ঃ ইপিবি কর্তৃক ইস্যুকৃত ক্লিয়ারেন্স ( Clearance ) ও এলোকেশন লেটার (Allocation Letter)


চার ঃ মূল রপ্তানি ঋণপত্রের ( Export LC ) ফটোকপি ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।


পাঁচ ঃ ব্যাক টু ব্যাক এলসি ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।


 


রপ্তানি লাইসেন্স সংগ্রহ (Export License Issue)


আপনার তৈরি পণ্য যদি তৈরি পোশাক হয় তবে EPB থেকে রপ্তানি লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে । তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য রপ্তানি ক্ষেত্রে ইপিবি রপ্তানি লাইসেন্স ইস্যু করে থাকে। উক্ত লাইসেন্স নেয়ার জন্য যেসকল ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবেঃ


একঃ সিও (CO)-এর দুই কপিসহ মূল এক্সপোর্ট লাইসেন্স পূরণ করে যা EPB কর্তৃক সরবরাহ করা হয়েছে দিতে হবে।


দুইঃ বি জি এম ই কর্তৃক ইস্যুকৃত আই ডি কার্ড


তিনঃ EPB কর্তৃক সরবরাহকৃত ই/এস আবেদন ফরম


চারঃ ইনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট


পাঁচঃ কমার্শিয়াল ইনভয়েস


ছয়ঃ নন নেগোশিয়েবল বিল অব লেডিং


সাতঃ শিপিং বিল (ফটোকপি বা মূল)


 


সার্টিফিকেট অব অরিজিন সংগ্রহ (Certificate of Origin)


ইসিভুক্ত দেশে আপনার পণ্য রপ্তানি করলে EPB থেকে সার্টিফিকেট অব অরিজিন (CO) সংগ্রহ করতে হবে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে অনেক সময় এলসিতে উল্লেখ না থাকলে প্রয়োজন পড়ে না। সিও সংগ্রহ করার জন্য নিম্নে উল্লিখিত ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হবেঃ


একঃ আবেদনকারী কর্তৃক পূরণকৃত সিও সেট


দুইঃ শিপিং বিল ( Shipping bill) শুল্ক কর্তৃক অনুমোদিত


তিনঃ নন নেগোশিয়েবল বিল অব লেডিং ( Non-negotiable Bill of Lading)


চারঃ রপ্তানি ঋণপত্র (Export LC) ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত


পাঁচঃ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র ( Back to Back LC) ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।


ছয়ঃ ১০০ টাকার পে অর্ডার


সাতঃ বিজিএমইএ কর্তৃক ইস্যুকৃত আই ডি কার্ড


আটঃ ইনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট (বর্তমানে)


নয়ঃ সিও আবেদন ফরম (ইপিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত)


দশঃ ভিসা উইং ফরম (ইপিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত)


এগারোঃ কর্মাশিয়াল ইনভয়েস


বারোঃ প্যাকিং লিস্ট


 


বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ


রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো


১.    কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫


ফোনঃ ৯১৪৪৮২১-৪, ৮১৫১৪৯৬, ৯১২৮৩৭৭, ৮১১২৪২৭, ৮১১৩২৪৭, ৮১৪৩২৪৭, ৮১৪৩২৪৮


ওয়েবঃ http://www.epb.gov.bd


 


ইন্সপেকশন সার্টিফিকেট (Inspection Certificate)


যে কোন রপ্তানি ঋণপত্রের term অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির পূর্বে মূল ক্রেতা বা তার নিয়োগকৃত এজেন্ট পণ্য রপ্তানিযোগ্য কিনা পরীক্ষা করে একটি Inspection Certificate প্রদান করেন। সার্টিফিকেট রপ্তানিকারকের জন্য খুবই জরুরি। এই সার্টিফিকেট লাভের জন্য স্থানীয় এজেন্ট-এর নিকট নিম্নে উল্লিখিত ডকুমেন্ট জমা দিতে হবেঃ


এক ঃ কমার্শিয়াল ইনভয়েস ( Commercial Invoice) এক কপি


দুই ঃ প্যাকিং লিস্ট ( Packing List) এক কপি


তিন ঃ বি এল (BL) এক কপি


চার ঃ ভিসা, লাইসেন্স, সি ও ( VISA, License, CO) প্রতিটি এক কপি


পাঁচ ঃ অন্য যে কোন ডকুমেন্ট মূল ঋণপত্র অনুযায়ী জমা দিতে হবে।


 


রপ্তানি কাগজপত্র প্রস্তুতকরণ (Export Document Preparation)


আপনার পণ্য রপ্তানির পর রপ্তানি বিভাগ ব্যাংকে দাখিল করার জন্য উল্লিখিত রপ্তানি ডকুমেন্ট তৈরী করবেন। এই সকল ডকুমেন্ট রপ্তানি ঋণপত্রের টার্ম অনুযায়ী তৈরী করতে হবে।


এক ঃ বিনিময় বিল (Bill of Exchange)


দুই ঃ কর্মাশিয়াল ইনভয়েস (Commercial Invoice)


তিন ঃ প্যাকিং লিস্ট ( Packing List)


চার ঃ বেনিফিশ্যারি স্টেটমেন্ট (Beneficiary’s Settlement)


পাঁচ ঃ এম সি ডি স্টেটমেন্ট ( MCD Statement)


ছয় ঃ কোটা স্টেটমেন্ট (Quota Statement) যদি তৈরি পোশাক শিল্পের তৈরি পণ্য হয়ে থাকে।


সাত ঃ ওজনের তালিকা বা মাপের তালিকা (Weight List/ measurement)


আট ঃ অন্য কোন জরুরি ডকুমেন্ট, যদি ক্রেতা কর্তৃক মূল রপ্তানি ঋণপত্রের ঞবৎস অনুযায়ী প্রয়োজন পড়ে।


 


রপ্তানি ডকুমেন্টস নেগোশিয়েশন (Export Document Negotiation)


রপ্তানি ঋণপত্রের টার্ম অনুযায়ী নেগোশিয়েশন করার জন্য আপনাকে জরুরি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি করে ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। যে সকল ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন পড়ে, তার একটা তালিকা পেশ করা হলোঃ


এক ঃ   ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।


দুই ঃ   বিল অব এক্সচেঞ্জ একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক স্বাক্ষরিত


তিনঃ যথাযথ স্বাক্ষরিত কমার্শিয়াল ইনভয়েস


চারঃ মূল বিএল বা এফসিআর বা এডবি−উবি বা এইচএডবি−উবি (Original BL or FCR or AWB or HAWB) মূল রপ্তানি ঋণপত্র অনুযায়ী সংযুক্ত করতে হবে।


পাঁচঃ প্যাকিং লিস্ট ( Packing List)


ছয়ঃ ইন্সপেকশন সার্টিফিকেট ( Inspection Certificate)


সাতঃ বেনিফিশ্যারির স্টেটমেন্ট (Beneficiary Statement )


আটঃ যে কোন চেম্বার কর্তৃক ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট অব অরিজিন অথবা কান্ট্রি অব অরিজিন (Certificate of Origin or Country of Origin)


নয়ঃ ভিসা/ লাইসেন্স/ সার্টিফিকেট অব অরিজিন/ জিএসপি )। যদি তৈরি পোশাক শিল্প হয় তখন উক্ত ডকুমেন্ট ঊচই থেকে সংগ্রহ করতে হবে।


দশঃ এম সি ডি ( Multiple Country Declaration ) যথাযথ স্বাক্ষরিত হতে হবে।


এগারোঃ ইএক্সপি ( Export Permission) শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।


বারো ঃ ইন্সুরেন্স পলিসি ( Insurance Policy)


তেরোঃ   অন্য যে কোনো ডকুমেন্ট যা এলসি বা ক্রেতা (Buyer) কর্তৃক চাওয়া হয়ে থাকে প্রভৃতি।


উপরে উল্লিখিত ডকুমেন্টসহ যখন আপনি আপনার রপ্তানি ডকুমেন্ট ব্যাংকে জমা দেবেন তখন ব্যাংক অফিসার LC term অনুযায়ী ডকুমেন্ট চেক করে ঠিক থাকলে নেগোসিয়েশান করবেন। নেগোসিয়েশন ত্বরান্বিত করা এবং যদি ভুলত্রুটি থেকে থাকে তা শুদ্ধ করা অথবা দলিল জমা না দেওয়া থাকলে তা সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে রপ্তানিকারকের নেগোসিয়েটিং ব্যাংকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা উচিত। বড় ধরনের ত্রুটিবিচ্যুতির ক্ষেত্রে সংগ্রহ ভিত্তিতে (Collection basis) ক্রেতা ব্যাংকের কাছে দলিলপত্র পাঠানো যেতে পারে এবং সেক্ষেত্রে তা সত্বর গ্রহণের জন্য অনতিবিলম্বে রপ্তানিকারকের ক্রেতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা উচিত।


 


ডকুমেন্টস সংগ্রহ (Collection of Document)


ব্যাংক বিভিন্ন কারনে Negotiation এর পরিবর্তে Collection এর জন্য ডকুমেন্ট পাঠাতে পারেন। নিম্নে কয়েকটি কারন উল্লেখ করা হলোঃ


এক ঃ বিলম্বে রপ্তানি ( Late Shipment)


দুই ঃ বিলম্বে উপস্থাপন ( Late Present)


তিন ঃ একক মূল্যের পার্থক্য ( Unit price differ) LC এবং Commercial Invoice-এ হতে পারে।


চার ঃ অতিরিক্ত দাবি ( Over draft)


পাঁচ ঃ বিল অব লেডিং-এ কোন মারাত্মক ভ্রান্তি ( Major Discrepancy in BL)


ছয় ঃ এল সি এবং অন্য ডকুমেন্টে কোম্পানির নাম ঠিকানার পার্থক্য (consignee name and address differ)


 


রপ্তানি বিল আদায় ( Collection of Export Bill )


রপ্তানি দলিলপত্রসমূহ নেগোসিয়েশন করার পর আপনার ব্যাংক DHL Courier -এর মাধ্যমে ৩ দিনের মধ্যে মূল দলিল আপনার ক্রেতার ব্যাংকে পাঠাবেন। ব্যাংক থেকে নিয়ম অনুযায়ী ২১ দিনের মধ্যে আপনার পেমেন্ট আইনত হবে। এই জন্য নিম্নের কাজগুলো আপনার Commercial section কে করতে হবে।


একঃ মূল ক্রেতাকে আপনার পক্ষ থেকে রপ্তানি প্রেরনের তারিখ DHL নম্বরসহ Fax -এর মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে।


দুইঃ সম্ভব হলে LC Term অনুযায়ী এক সেট রপ্তানির ডকুমেন্ট আপনার ক্রেতার নিকট প্রেরণ করতে হবে।


তিনঃ প্রতিদিন ব্যাংকে খোঁজ নিতে হবে পেমেন্ট এসেছে কি না।


চারঃ সাতদিন পর ক্রেতাকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যাতে ২১ দিনের পূর্বে Payment Release করে দেয়।


পাঁচঃ আপনার অফিসে রপ্তানি ডকুমেন্ট এর একটি ফাইল রাখতে হবে। এই ফাইলে সব ডকুমেন্ট -এর কপি থাকবে।


ছয়ঃ যদি আপনার অফিসের সকল কাজ কম্পিউটারে হয়ে থাকে, তবে কম্পিউটার এন্ট্রি ঠিক সময়ে দিতে হবে যাতে নিয়মিত আপনি ফলোআপ করতে পারেন।


সাতঃ আপনার অফিসের একাউন্টস সেকশন-এ অনুরূপ এন্ট্রি দিয়ে দিতে হবে।


আপনার রপ্তানিকৃত পণ্যের কাঁচামাল যদি ব্যাক টু ব্যাক এল সি-এর মাধ্যমে এনে থাকেন, তখন রপ্তানি বিলের অর্থ দ্রুত আদায় করা আপনার জন্য খুবই জরুরি। আর যদি ক্যাশ বা অন্য যে কোনভাবে কাঁচামাল আমদানি করে থাকেন তখন রপ্তানি বিলের অর্থ আদায়ে তেমন কোন দায় থাকে না। কিন্তু তবুও ব্যাংকের অন্যান্য পাওনা পরিশোধের জন্য দ্রুত রপ্তানি বিল আসাটা খুবই জরুরি। আপনি যত আমদানি ঋণপত্রের দায় পরিশোধ করবেন তত কম সুদ আপনাকে দিতে হবে। তাই আপনাকে দ্রুত দায় পরিশোধে সচেষ্ট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাক টু ব্যাক এল সি না করেও  EDF- Export Development Fund )-এর সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। তাতে সুদের পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু বাংলাদেশে কিছু ব্যাংক EDF ফান্ড ব্যবহার করে না, ফলে ব্যাংকের গ্রাহকদের উচ্চহারে লভ্যাংশ দিয়ে ব্যবসা করতে হয়। আপনার রপ্তানি ঋণপত্রের আয় যে দিন পাবেন সেদিনই আমদানি ঋণপত্রের দায় পরিশোধ করবেন। তাতে সুদের পরিমাণ কম আসবে। ফলে কোম্পানির বেশ সাশ্রয় হবে।


 


ব্যাক টু ব্যাক এল সি (Back to back LC)


ব্যাক টু ব্যাক এলসি’র মাধ্যমে রপ্তানিকারক রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয়, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রস্তুতকরণ এবং প্যাকেজিং এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করে। ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজনঃ


একঃ এলসি খোলার আবেদন


দুইঃ এলসি আবেদন ফরম


তিনঃ ইনডেন্ট/ প্রোফর্মা ইনভয়েস


চারঃ এলসিএফ


পাঁচঃ আমদানি অনুমতি (আইএমপি ফরম)


ছয়ঃ ইন্সুরেন্স কাভার নোট


সাতঃ রপ্তানি এলসির মূল কপি


 


ক্যাশ বেনিফিট ( Cash Benefit)


বাংলাদেশী রপ্তানিকারকদের জন্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে Cash benefit প্রথা অব্যাহত আছে। সরাসরি রপ্তানি (Direct Export ) ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানি ( Deemed Export), দুই ক্ষেত্রে প্রায় একই রকম ডকুমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হয়। ২ বছর পূর্বে এই Incentive রপ্তানিকারকগণ সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পেতেন। বর্তমানে রপ্তানিকারকগণ নিজ নিজ ব্যাংক-এর মাধ্যমে এই অর্থ পেয়ে থাকেন। সরাসরি রপ্তানিকারকগণকে যে সকল ডকুমেন্টসহ ক্যাশ বেনিফিটের জন্য আবেদন করতে হয় তা হচ্ছে-


একঃ কোম্পনির ফরওয়ার্ডিং লেটার।


দুইঃ সঠিকভাবে পূরন করা আবেদন ফরম।


তিনঃ রপ্তানি এলসি কপি।


চারঃ ব্যাক টু ব্যাক এলসি কপি, ক্যাশ মেমো, ব্যাংক ড্রাফট, পেঅর্ডার, চেক, কমার্শিয়াল ইনভয়েস,   চালান, ট্রাক, কাঁচামালের উৎসের সত্যতা যাচাই এর রিসিট।


পাঁচঃ বিএল বা এডবি−উবি (এয়ার ওয়ে বিল) এর সত্যায়িত কপি।


ছয়ঃ শিপিং বিল এর সত্যায়িত কপি।


সাতঃ পিআরসি (প্রসিডস্ রিয়েলাইজেশন সার্টিফিকেট)


আটঃ ফরেন কমিশনের ফ্রেইট সার্টিফিকেট।


নয়ঃ ব্যাংক সার্টিফিকেট (বিবিএলসি কপিসহ)


দশঃ ইআরসি কপি।


এগারোঃ বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট সার্টিফিকেট।


বারোঃ ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট।


তেরঃ ইউটিলাইজেশন ডিক্লিয়ারেশন/ ইউটিলাইজেশন পারমিশন কপি।


চৌদ্দঃ বিটিএমএ সার্টিফিকেট কপি।


প্রচ্ছন্ন শিল্পের রপ্তানির পর  Cash Benefit  লাভের জন্য সরাসরি রপ্তানির মতো উপরে উল্লিখিত ১৪ টি ডকুমেন্ট দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আরও ৪টি অতিরিক্ত ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। সেগুলো হচ্ছেঃ


একঃ ক্রেতার ব্যাংক কর্তৃক অরিজিনাল মাস্টার/ এক্সপোর্ট এলসি সার্টিফিকেট।


দুইঃ ক্রেতার ইনভয়েসের সার্টিফিকেট কপি।


তিনঃ ক্রেতার এক্সপোর্ট এলসির ফ্রেইট সার্টিফিকেট।


চারঃ ক্রেতার এক্সপোর্ট এলসির পিআরসি (প্রসিডস্ রিয়েলাইজেশন সার্টিফিকেট)।


 


রপ্তানিকারক হিসেবে আপনি কী কী বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন


দ্রুত রপ্তানি উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। প্রয়োজনবোধে সুযোগ-সুবিধার পরিধি বাড়াতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। রপ্তানিকারক হিসেবে এ সকল সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আপনি একদিকে যেমন আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সাধন করতে পারেন অপরদিকে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণে বলিষ্ট ভূুমিকা পালন করার গৌরব অর্জন করতে পারেন।


রপ্তানিকারকগনকে নিম্নোক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়ঃ


  •  ন্যূনতম ৮০% রপ্তানিমুখী চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১০০% রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে ঘোষনা প্রদান;

  •    ন্যূনতম ৮০% রপ্তানিমুখী অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১০০% রপ্তানিমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান;

  •    এক্সপোর্ট ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কীম (ইসিজিএস) এর পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান;

  •   আমদানি নির্ভর ও রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা প্রদান;

  •    বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ডিউটি ড্র ব্যাক প্রাপ্তির সুবিধা প্রদানের দ্বারা রপ্তানিকারকদের সহায়তা প্রদান;

  •    আকাশপথে ফলমূল ও শাক সব্জি সহ বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত সকল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত হারে বিমান ভাড়ার সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদেশী এয়ারলাইন্সের কার্গো সার্ভিসের সুবিধা সম্প্রসারনের জন্য রয়্যালটি প্রত্যাহার;

  •    কৃষি পণ্যসহ দেশীয় কাঁচামালের দ্বারা প্রস্তুতকৃত মূল্য সংযোজিত পণ্যের রপ্তানিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে রপ্তানির বিপরীতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান;

  •    ইএক্সপি ফরম ও শিপিং বিল দাখিল সাপেক্ষে এলসি ব্যতিরেকে বায়িং কণ্ট্রাক্ট, চুক্তি, পারচেজ অর্ডার কিংবা এডভান্সড পেমেন্ট ভিত্তিতে রপ্তানির সুযোগ প্রদান;

  •    ফ্যাশন ইনস্টিটিউট স্থাপন;

  •    গ্রে-কাপড় আমদানির সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানির বিধি-নিষেধ শিথীল;

  •    রেয়াতী হারে বীমা প্রিমিয়াম;

  •    পণ্য জাহাজীকরনের জন্য ওয়েভার প্রদান: রপ্তানি পণ্য পরিবহনে অহেতুক বিলম্ব পরিহারের উদ্দেশ্যে ওয়েভার প্রাপ্ত ক্ষেত্রসমূহ ব্যতিরেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক রপ্তানি পন্য দ্রুত পরিবহনের সুবিধার্থে কেউ যদি বিমান চার্টার করতে চান তাহলে সরকারের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে;

  •    সর্বোচ্চ ও বিশেষ অগ্রাধিকারভূক্ত খাতের অন্তর্ভুক্ত পণ্যের জন্য বিভিন্ন প্রকার সুবিধা প্রদান;

  •    শাক-সব্জি ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য রাজশাহী ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিমান বুকিং সুবিধা প্রদান;

  •    প্রত্যাহার অযোগ্য এবং সুদৃঢ় রপ্তানি ঋণপত্রের/ বিক্রয় চুক্তির বিপরীতে শতকরা ৯০ ভাগ পর্যন্ত রপ্তানি ঋণ প্রদানের সুবিধা প্রদান;

  •    কাঁচামাল ক্রয়/ আমদানির সুবিধার্থে অভ্যন্তরিন/বৈদেশিক ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্র খোলার সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানিকারকদের বিদেশ সফরের জন্য প্রাপ্য বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে ক্রেডিট কার্ড প্রদান;

  •    রপ্তানিমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানিকারকগণ কর্তৃক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের সুযোগ প্রদান;

  •    রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উন্নয়ন, বহুমুখীকরন, বাজার উপযোগীকরন ও বিপনন সুবিধা সম্প্রসারনের জন্য রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল [এপোর্ট প্রমোশন ফান্ড, ইপিএফ] গঠন;

  •    সাবকণ্ট্রাকটিং ভিত্তিক রপ্তানিতে উৎসাহ ও সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানি পণ্যের নমুনা প্রেরণের ক্ষেত্রে বর্ধিত হারে বার্ষিক সীমা নির্ধারণ;

  •    রপ্তানি ঋনের মেয়াদকাল ১৮০ দিন হতে ২৭০ দিন বর্ধি তকরন;

  •    কর অবকাশ (Tax Holiday) প্রদান;

  •    তৈরী পোশাকের প্রতি ক্যাটিগরীতে শুল্কমুক্ত ভাবে নমুনা আমদানির অনুমতি প্রদান;

  •   পণ্য উন্নয়ন নমুনা আমদানির সুবিধা বৃদ্ধি;

  •    আমদানিকারক ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা প্রদান;

  •    বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রদান;

  •    রপ্তানী উন্নয়ন বু্যুরো কর্তৃক জাতীয় রপ্তানি প্রশিক্ষন কর্মসূচীর আওতায় রপ্তানি বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রদান;

  •    ফ্ল্যাট রেট ভিত্তিতে ডিউটিড্র-ব্যাক প্রাপ্তির সুবিধা প্রদান;

  •    রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর রেয়াত;

  •    আন্তর্জাতিক দরপত্রের অধীনে বৈদেশিক মুদ্রায় স্থানীয় প্রকল্পাধীনে সরবরাহকৃত পণ্যকে প্রচ্ছন্ন রপ্তানি হিসেবে গণ্যকরন এবং সকল রপ্তানির সুযোগ-সুবিধা প্রদান;

  •    প্রত্যাহার-অযোগ্য ঋণ পত্রের অধীনে সাইট পেমেন্ট ভিত্তিতে যদি রপ্তানি করা হয়, তাহলে রপ্তানিকারককে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র জমা দেয়ার শর্তে বাণিজ্যিক ব্যাংক ওভারডিউ সুদ ধার্য করবে না;

  •    কৃতি রপ্তানিকারকদের অনুকূলে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান;

  •    রপ্তানি সাফল্যের মাফকাঠিতে নির্বাচিত রপ্তানিকারকদের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব (কমার্শিয়াল ইম্পরটেন্ট পারসন সিআইপি) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান;

  •    রপ্তানি সহায়ক সার্ভিসের উপর ভ্যাট প্রত্যর্পন সহজীকরন;

  •    রপ্তানি শিল্পের ক্ষেত্রে বন্ড সুবিধা;

  •    বিদেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও একক প্রদর্শনী আয়োজন এবং অন্যান্য বাজার উন্নয়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং;

  •    অন্ট্রাপো ও পুনঃরপ্তানির সুযোগ প্রদান।

সস্পূর্ণ লেখা নেয়া হয়েছে এখান থেকেঃ  ড. নূরুল কাদির ও অন্যান্য (২০০৯) এসএমই বিজনেস ম্যানুয়াল, ১ম এডিশন., ঢাকা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন



রপ্তানি পদ্ধতি

No comments:

Post a Comment